আমার দেশ • প্রথম পাতা • লিড ৪
১৫ দিন আগের দামে চাল বিক্রির নির্দেশ খাদ্যমন্ত্রীর
অর্থনীতি ডেস্ক : পনের দিন আগে বাজারে চালের যে দাম ছিল, সেই দামে পুরো অক্টোবর মাসে দেশের প্রধান এই খাদ্যশস্য বিক্রি করতে চালকল মালিকদের নির্দেশ দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। খাদ্য ভবনের সম্মেলন কক্ষে মঙ্গলবার চালকল মালিক ও চাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সাড়ে তিন ঘণ্টা বৈঠক শেষে তিনি এই নির্দেশ দেন।
চাল ব্যবসায়ীরা সভায় খাদ্যমন্ত্রীকে জানান, ১৫ দিন আগে তারা চালকলগুলো থেকে ৫০ কেজির এক বস্তা মিনিকেট চাল ২৫৫৫ টাকায় কিনেছেন। যদিও সভার শেষ দিকে এসে খাদ্যমন্ত্রী ৫০ কেজি ওজনের এক বস্তা মিনিকেট চালের দাম ২৬০০ টাকা এবং আটাশ চালের দাম ২৩০০ টাকা নির্ধারণ করে দেন।
কিন্তু চাল ব্যবসায়ীদের আপত্তির মুখে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে খাদ্যমন্ত্রী ১৫ দিন আগের দামে চাল বিক্রির নির্দেশ দিয়ে সভা শেষ করেন।
এদিকে একশ্রেণির অসাধু চালকল মালিক অবৈধভাবে ধান ও চাল মজুত করে রাখার জন্য চালের বাজার অস্থিতিশীল হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, আমার নিজের এলাকায় হাজার হাজার মেট্রিক টন ধান মজুত রয়েছে। তাহলে আমার মনে কেমন লাগে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে কৃষকদের কাছে ২ শতাংশও ধান নেই। আমি নয় দিন নওগাঁ, বগুড়া, জয়পুরহাট এলাকায় ঘুরেছি। বড় বড় মিলার কিছু পরিমাণ ধান মজুত রেখেছে এতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু দেখা গেছে মিল বন্ধ, লাইসেন্সও নবায়ন করেনি অথচ সেসব মিলেও ৫০০, হাজার, দেড় হাজার মেট্রিক টন ধান মজুত রেখেছে। ধানে গাছ গজিয়ে গেছে, এগুলো কার ধান।’ তিনি বলেন, ‘গত দুদিন আমি গোপন সার্ভে করে প্রায় ৫০টা মিলের খোঁজ পেয়েছি; এসব মিলে নিম্নে ২০০ মেট্রিক টন সর্বোচ্চ ৩ হাজার মেট্রিক টন ধান মজুত রয়েছে। এমনকি ৫০০ মেট্রিক টন চালও মজুত রয়েছে। এ সার্ভে যদি আরও সাত দিন করা হয় তাহলে শত শত চালকল পাওয়া যাবে সেখানে এভাবে ধান মজুত রাখা হয়েছে। আড়তদাররাও ধান ও চাল মজুত করে রাখছে। তিনি আরও বলেন, একটা বন্ধ মিলে ১ হাজার ৪৪৭ মেট্রিক টন ধান ও ৭০০ মেট্রিক টন চাল মজুত করে রাখা হয়েছে। এটা কী পরিকল্পিতভাবে সরকারকে বেকায়দায় ফেলা হচ্ছে না? যেসব মিল মালিক এ ধরনের অবৈধ মজুত করছেন না, তারাও অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করছেন না।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এ রকম সহযোগিতা পেলে তো তাদের কোলে তুলে নিতাম। আমি নওগাঁর মন্ত্রী, নওগাঁর মিল মালিকরা যদি হাজার হাজার মেট্রিক টন ধান ও চাল মজুত করে রাখে তাহলে আমার মনে কী হয়! আমি উত্তরবঙ্গের মন্ত্রী। মিল মালিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা সব জানেন কিন্তু তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেন না। আপনারা শুধু এই সেই তথ্য দেন। সূত্র : বিডিনিউজ, জাগোনিউজ। গ্রন্থনা: কেএম নাহিদ।