সাত মাসে রপ্তানি আয় ২ লাখ কোটি টাকা
নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনার শুরুতে রপ্তানি আয় উল্লেখ্যযোগ্য হারে কমতে থাকে। তবে এ সময়ও পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ভালো ছিলো। চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) ৭৬ কোটি ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এ আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৭ শতাংশ বেশি।
আলোচিত এ সাত মাসে মোট ২ হাজার ২৬৭ কোটি ডলার বা ১ লাখ ৯৫ হাজার ৬৯৫ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি হয়েছে। তবে এ আয় তার আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ কম। এ সময়ে ৫৯ কোটি ডলারের হিমায়িত খাদ্য, ৫২ কোটি ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, ৩০ কোটি ডলারের হিমায়িত খাদ্য, ৩১ কোটি ডলারের প্রকৌশল পণ্য রপ্তানি হয়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) পণ্য রপ্তানি আয়ের এ হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। গত জানুয়ারিতে ৩৪৩ কোটি ৬৭ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। গত বছরের জানুয়ারিতে রপ্তানি হয়েছিল ৩৬১ কোটি ডলারের পণ্য। সেই হিসাবে গত জানুয়ারিতে রপ্তানি কমেছে ৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে ১ হাজার ৮৪০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে।
যা দেশীয় মুদ্রায় ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। এ আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ কম। তৈরি পোশাকের মধ্যে নিটের রপ্তানি ৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেলেও ওভেন পোশাকের কমেছে ১০ দশমিক ৮৫ শতাংশ। অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে ৯৯৮ কোটি ডলারের নিট পোশাক ও ৯৪৪ কোটি ডলারের ওভেন পোশাক রপ্তানি হয়েছে। করোনা শুরু থেকেই ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিত হওয়ায় পোশাক রপ্তানি কমতে থাকে। মাঝে আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে পরিস্থিতি উন্নতি হলেও আবার ধস নামে। বর্তমানে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে ক্রয়াদেশ আসার গতি নিম্নমুখীতায় রয়েছে বলে দাবি করেছেন পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা।
ইপিবির তথ্যমতে, করোনাকালে দেশের হিমায়িত মাছ রপ্তানি কমেছে। গত অর্থবছরের প্রথমার্ধের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে মাছ রপ্তানি কমেছে ৩ দশমিক ৭১ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে হিমায়িত মাছ ও চিংড়ি রপ্তানি করে আয় হয়েছে ২৭ কোটি ৯৭ লাখ ডলার। এ আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের ৩ দশমিক ৭১ শতাংশ কম। গত অর্থবছরের একই সময়ে আয় হয়েছিল ২৯ কোটি ডলার। এদিকে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে লক্ষ্যমাত্রা ২৭ কোটি ৫৪ লাখ ডলার। দেখা যায়, অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে ১৯ কোটি ৪৫ লাখ ডলারের চিংড়ি রপ্তানি হয়েছে। এছাড়া ৩ লাখ ২৩ হাজার ডলারের জীবন্ত মাছ, ৬ কোটি ৬৩ লাখ ডলারের হিমায়িত মাছ, ৮ লাখ ৮৬ হাজার ডলারের কাঁকড়া ও ৬ লাখ ৭৪ হাজার ডলারের অন্যান্য মাছ রপ্তানি হয়েছে। গত অর্থবছরের প্রথমার্ধের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে ৫৬ দশমিক ৭০ শতাংশ কম জীবন্ত মাছ রপ্তানি হয়েছে।
পাশাপাশি ১০ দশমিক ৪২ শতাংশ কম চিংড়ি ও ৪৮ দশমিক ২২ শতাংশ কম কাকড়া রপ্তানি হয়েছে। অন্যদিকে হিমায়িত মাছ রপ্তানি বেড়েছে ৫৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ। সম্পাদনা : ভিক্টর রোজারিও