বিশ্বের বাজারে বাংলাদেশি ফ্যাশনকে নিয়ে যাচ্ছে বিজিএমইএ
মো. আখতারুজ্জামান : বিজিএমইএ আন্তর্জাতিক পোশাক বাজারে রপ্তানি পণ্যে দেশের ঐতিহ্য উপস্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। আর এ উদ্যোগ সফল করতে এইচএসবিসি ব্যাংক লিমিটেড এগিয়ে এসেছে। এ বিষয়ে সোমবার গুলশানে বিজিএমইএ পিআর অ্যান্ড মিডিয়া সেলে বিজিএমইএ এবং এইচএসবিসি মধ্যে একটি চুক্তি স¦াক্ষর হয়। এ চুক্তির আওতায় এইচএসবিসি, বিজিএমইএ’র ঘোষিত প্রতিশ্রুতি রপ্তানি পণ্যে ঐতিহ্য উপস্থাপন উদ্যোগটিকে স্পন্সর করবে। বিজিএমইএ-এর পক্ষে সভাপতি ড. রুবানা হক এবং এইচএসবিসি ব্যাংক লিমিটেড, বাংলাদেশ-এর পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব উর রহমান চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বিজিএমইএ’র সহসভাপতি এমএ রহিম, পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল মোমেন, পিআর কমিটি’র চেয়ারম্যান খান মনিরুল আলম, আরএসসি কমিটির চেয়ারম্যান নাফিস-উদ-দৌলা এবং এইচএসবিসি লিমিডেটের হোলসেল ব্যাংকিং প্রধান কেভিন গ্রিনসহ উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। জানান হয়, বিজিএমইএ সরকারের এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে গো হিউম্যান গো গ্রিন উদ্যোগের আওতায় প্রথমবারের মতো ৭ প্রতিশ্রুতির ঘোষণা করেছে যার মধ্যে অন্যতম হলো ফ্যাশন বিশ্বে রপ্তানি পণ্যে ঐতিহ্য উপস্থাপন। এ উদ্যোগের আওতায় বিজিএমইএ ১৪ বৃহৎ দেশের ক্রেতাদেরকে আকৃষ্ট করার জন্য রপ্তানি পোশাকে বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য উপস্থাপন করে ফ্যাশন শোর আয়োজন, তথ্য ও ভিডিওচিত্র নির্মাণসহ বিভিন্ন ধরনের প্রচারণার বিশদ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। দেশগুলো হচ্ছে: জার্মানি, ইউকে, স্পেন, ফ্রান্স, ইতালি, পোল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, বেলজিয়াম, সুইডেন, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা।
বিজিএমইএ গভীরভাবে বিশ্বাস করে, ঐতিহ্যকে সঙ্গে নিয়েই জাতিকে অগ্রসর হতে হবে। আমরা যদি ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রপ্তানি করতে পারি। আন্তর্জাতিক ফ্যাশন বিশ্বে আমাদের নিজস্ব পদচিহ্ন এঁকে দিতে পারি, তবে সেটি হবে এদেশের পোশাক শিল্পের জন্য একটি বিশাল মাইলফলক। বিজিএমইএ এ বিষয়েই কাজ করছে।
ইতিমধ্যে বিজিএমইএ দেশি, বিদেশি ফ্যাশন ডিজাইনারদেকে সাথে নিয়ে এ লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি প্রকল্পও গ্রহণ করেছে। ইপিবি’র তথ্যে দেখা গেছে, মৌলিক পোশাকের তুলনায় ফরমাল এবং ফ্যাশন পোশাকের রপ্তানি কমছে বড় ব্যবধানে। সাধরণত, ফরমাল এবং ফ্যাশন পোশাক ওভেন শ্রেণিভুক্ত। অন্যদিকে বিভিন্ন ধরনের গেঞ্জি, ট্রাউজার ইত্যাদি মৌলিক পোশাক নিট শ্রেণিভুক্ত। গত জুলাই-জানুয়ারি সময়ে পোশাকের রপ্তানি কম হয়েছে ৩.৪৪ শতাংশ। এর মধ্যেও নিটের রপ্তানি বেশি হয়েছে ৩.৮৪ শতাংশ। অন্যদিকে ওভেনের কমেছে প্রায় ১১ শতাংশ। এ দুই ক্যাটাগরি মিলে ১ হাজার ৮৪১ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে আলোচ্য সময়ে। আগের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৯০৬ কোটি ডলার। সম্পাদনা : ভিক্টর রোজারিও