আসিফুজ্জামান পৃথিল : তবে এই ৩ জনের কেউই এখনও পুলিশি হেফাজতে নেই। এদের বাইরে এক কানাডিয়-মার্কিন নাগরিকের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের মামলাও করা হয়েছে। এই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে ব্রিটিশ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সিস্টেমে সাইবার হামলারও অভিযোগ আনা হয়েছে। যা ওয়ানাক্রাই হামলা নামে পরিচিত। এই অভিযোগ দায়ের করে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক সহকারী অ্যাটর্নি জন ডেমেরস বলেন, উত্তর কোরিয়া এমন একটি অপরাধ সিন্ডিকেটে পরিণত হয়েছে, যাদের পতাকা আছে। বিবিসি
পার্ক, জন চ্যাং হাওক আর কিম ইলের বিরুদ্ধে অপরাধের ষড়যন্ত্র, জালিয়াতি চেষ্টার ষড়যন্ত্র আর ব্যাংক জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে। এফবিআই এর লস অ্যাঞ্জেলস ফিল্ড অফিসের ডিরেক্টর ইন চার্জ ক্রিস্টি জনসন মনে করেন, এই ব্যক্তিরা উত্তর কোরিয়াতেই অবস্থান করছেন। পার্কের নামে প্রথম অভিযোগ গঠন করা হয় ২০১৮ সালে। তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরির অভিযোগ ছিলো। এখন যুক্তরাষ্ট্র বলছে, বাংলাদেশের অর্থ এই ৩ জন মিলেই চুরি করে। যার পেছনে সরাসরি রাষ্ট্র মানে উত্তর কোরিয়া ছিলো। সিএনএন
এজহার অনুযায়ী, এই ৩ জন প্রায়শই উত্তর কোরিয়ার বাইরে বিভিন্ন দেশে অবস্থান করে। এরমধ্যে রয়েছে রাশিয়া ও চীন। যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস মনে করে, এই ৩ জন উত্তর কোরিয়ার মিলিটারি ইন্টালিজেন্স রিকনিসেন্স জেনারেল ব্যুরোর হয়ে কাজ করে। ডেমারস বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার এই গুপ্তচরেরা বন্দুকের বদলে কি-বোর্ড ব্যবহার করছে। তারা ডিজিটাল মানিব্যাগে ঢুঁ মারছে। তারা বিশ্বের ভয়ংকরতম ব্যাংক ডাকাত।’ এনবিসি
অনেকদিন ধরেই পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ তারল্যসঙ্কটে ভুগতে থাকা উত্তর কোরিয়া হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করছে। এর আগেও ধারণা করা হচ্ছিলো যুক্তরাষ্ট্রে গচ্ছিত বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ উত্তর কোরিয় হ্যাকাররাই চুরি করেছে। তবে এই প্রথমবার একটি চক্রের বিরুদ্ধে সুগঠিত অভিযোগ আনা হলো।