আসিফুজ্জামান পৃথিল : ২০২০ সালে বাংলাদেশে চালের দাম ৩৫ শতাংশ বেড়ে যায়। এর কারণ করোনা পরিস্থিতিতে চালের সরবরাহ কমে যাওয়া। বিশ্বের অন্যতম প্রধান উৎপাদক হলেও দেশটি এসময় অন্য দেশ থেকে চাল আমদানি শুরু করে। কমিয়ে দেওয়া হয় আমদানি শুল্ক। এর বড় ধরনের প্রভাব পড়ে আন্তর্জাতিক বাজারে।
ভারতে প্রতি টন সেদ্ধ চালের দর চলতি সপ্তাহে ৩৯৫ থেকে ৪০১ ডলারে নেমে এসেছে। গত সপ্তাহেই ছিল রেকর্ড ৪০২ থেকে ৪০৪ ডলার। দর কিছুটা কমলেও তা এখনও স্বাভাবিক নয়। তবুও ভারতের রপ্তানি এতোটাই বেড়ে গেছে যে, দেশটির বৃহত্তম চাল রপ্তানির ফ্যাসালিটি কাকিনাদা অ্যাংকারেজ বন্দরে আরও একটি বন্দর চালু করা হয়েছে। দ্য হিন্দু
ভারতের চাল রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট বিভি ক্রষ্ণা রাও বলেন, ‘গত শনিবার থেকে আমরা কাকিনাদা গভীর সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করতে শুরু করেছি। ফলে অপেক্ষার সময় কমবে, রপ্তানির পরিমাণও বেড়ে যাবে। দাম বাড়ায় শুধু আমরাই নয়, কৃষকরাও উপকৃত হচ্ছেন।’
বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডের প্রতিটন সেদ্ধ চালের দাম ছিলো ৫৪০ থেকে ৫৬০ ডলার। যা গত ১০ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। ব্যাংককভিত্তিক এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমাদের দেশে চাহিদা বেড়েছে কিন্তু সরবরাহ কমে গেছে। বিদেশ থেকে খুব বেশি চাপ না এলেও এ কারণে দাম একটু বেশি।’ ভিয়েতনামের সেদ্ধ চালের দাম বৃহস্পতিবার ছিলো ৫০৫ থেকে ৫১০ ডলার। কিছুদিন আগেই যা ছিলো ৫১০ থেকে ৫১৫ ডলার। মেকং ডেল্টা এলাকায় চালের উৎপাদন বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। মেকংয়ের শীত-বসন্ত মৌসুমে চালের উৎপাদন তুলনামূলক বেশি হয়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, তারা আমদানির চাহিদা বাড়ায় কৃষকদের কাছ থেকে ধান ও চাল কেনা বাড়িয়ে দিয়েছেন। ফলে দেশটিতে ধান ও চালের দাম রেকর্ড ছুঁয়েছে।