পিকে হালদারের দুর্নীতি ৪০ জনকে আসামি করে দুদকের ১০ মামলার প্রস্তুতি অর্থ ভাগাভাগি করে নেয়ার অভিযোগ
সুজন কৈরী : এসব মামলায় কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে তিনটি নন ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ৭০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার প্রাথমিক প্রমাণ দেয়া হয়েছে। কমিশনে পেশ হওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিকে ও তার সহযোগীরা সাধারণ মানুষের আমানতের অর্থ ভাগাভাগি করে হাতিয়ে নিয়েছেন। এমন জালিয়াতির তথ্য প্রমাণ তুলে ধরে কমিশনে দশটি প্রতিবেদন পেশ করেন দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বাধীন একটি অনুসন্ধান টিম। কমিশনের অনুমোদন পাওয়া গেলে মার্চের প্রথম সপ্তাহে মামলাগুলো দায়ের হতে পারে বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে।
পেশ হওয়া প্রতিবেদনে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, ফাস ফিন্যান্স, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সাবেক এবং বর্তমান চেয়ারম্যান-এমডি, পরিচালকসহ এই তিন প্রতিষ্ঠানের ৩০ জনকে আসামি করে মামলার সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া কনিকা, কলাসিন, লিপ্রো ইন্টারন্যাশনাল, আরবি এন্টারপ্রাইজসসহ ১০টি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের ১০জন মালিককের বিরুদ্ধেও মামলার সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মোজাম্মেল হক খান বলেন, এ বিষয়ে অবশ্যই মামলা হবে। পি কে হালদার এবং তার সংশ্লিষ্টদের নিয়ে দুদক একটি বিশাল কর্মযজ্ঞের মধ্যে আছে। আমাদের কাছে আরও ১০টি অনুসন্ধান প্রতিবেদন এসেছে, সেগুলোও আমরা পর্যালোচনা করছি। আর্থিক খাতের সবচেয়ে বড় এ দুর্নীতির ঘটনায় যাদের নাম আসবে তাদের কেউই আইনের জাল থেকে বের হতে পারবেন না।
কয়েকটি নন ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সহযোগীদের নিয়ে দশ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া গেছেন পি কে হালদার। অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে পিকে হালদারসহ ৩৩জনের বিরুদ্ধে পরে মামলা করে দুদক। এসব মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া পিপলস লিজিংয়ের চেয়ারম্যান উজ্জ্বল কুমার নন্দী এবং ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সাবেক এমডি রাশেদুল হককে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয় দুদক। পরে তারা আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে অনেকের নাম উঠে আসে।