মিনহাজুল আবেদীন : বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ্ উদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রকে গুরুত্ব দিতে হবে। এটি প্রসারের চেষ্টা করতে হবে। আমদানি-রপ্তানিতে নজরদারির পাশাপাশি নিজেদের তৈরি পণ্যগুলোর রপ্তানি বাড়াতে হবে। নিজেদের শিল্পকে আরও মজবুত করতে হবে। বিশ্ব বাজারে তা তুলে ধরতে হবে।
সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, দুই দেশের মধ্যে কানেক্টিভিটি বাড়লে ব্যবসা, বাণিজ্য ও ক্ষুদ্র উদ্যেক্তারা লাভবান হবে। সামগ্রিকভাবে কানেক্টিভিটি নিয়ে ভাবতে হবে। ১২ বছরে ভারত ও বাংলাদেশের সঙ্গে কানেক্টিভিটি বেড়েছে। রেল, সড়ক ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছে। এখন ব্যবসা বাণিজ্য ও পর্যটন বাড়ছে। ৬৫ বছর বিরত থাকলেও এখন সুসম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে অর্থনীতি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে। সেতুবন্ধন দিয়ে দীর্ঘ যানজট দূর হবে। বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক ধরে রাখতে হবে। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক শেখ সামস মোরসালিন বলেন, ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি পেলে চট্টগ্রাম বন্দর জমজমাট হবে।
পোর্ট ব্যবহারে বিনিয়োগ বাড়বে। ভারত থেকে মালামাল আমদানি সহজ হবে। মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা বাড়বে। ট্যুরিজম বেগমান হবে। বাংলাদেশ থেকে কেনা ইন্টারনেট ব্যান্ড উইথ ব্রিজের নিচে দিয়ে ক্যাবল পাইপের মাধ্যমে সাপ্লাই দেয়া যাবে। ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি মজবুত হবে।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে ব্যবসায়ীদের আগ্রহী করে তুলতে হবে। বাংলাদেশের কিছু পণ্য ভারতের বাজারে খুব চাহিদা রয়েছে। তাদের বাজারগুলো ধরতে ব্যবসায়ীদের সুদৃষ্টি রাখতে হবে।
ভারত, মিয়ানমার, ভুটান ও পার্শ^বর্তী দেশগুলোতে বাংলাদেশের পণ্যের বাজার ধরে রাখতে হবে। অন্যদের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে নিজেদের তৈরি পণ্যগুলো বাইরে পাঠাতে হবে। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের জন্য এখন বর্ডারে গরু পাচার ও হত্যার হার কমে যাচ্ছে। কিছু ব্যক্তি সীমান্তে অপকর্ম করে দেশের মানকে ক্ষুণœ করছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল্লাহ হেল কাফী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে ভারত অবদান রেখেছে। সেই লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারত এগিয়ে চলছে। আগামী ২৬ মার্চ নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরে নতুন আরও চুক্তি হবে। এমনটাই আশা করবো। সম্পাদনা : বিশ্বজিৎ দত্ত