
দীঘির বিরুদ্ধে মামলা হয়নি

ইমরুল শাহেদ : ‘তুমি আছো তুমি নেই’ ছবির প্রযোজক সিমি ইসলাম কলি এবং পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু বলেছেন, তারা ছবিটির বিরুদ্ধে নায়িকা দীঘির নেতিবাচক মন্তব্যের কারণে মানহানির মামলা করবেনই। তবে তিনি গত বুধবার আদালতে গেলেও মামলা হয়নি। যদিও দেলোয়ার জাহান ঝন্টু গণমাধ্যমকে বলেছেন তিনি মামলা করেছেন।
কিভাবে মামলা করলেন? মামলার জন্য কি কি আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছেন তিনি? এসব প্রশ্নের জবাবে দেলোয়ার জাহান ঝন্টু বলেন, ‘আমার আইনজীবী মোহাম্মদ ফোরকান মিঞা। তার সহকারী আমাকে দিয়ে একটি কাগজে সই করিয়ে রেখেছেন। সেটা হতে পারে ওকালতনামা।’ আর কোনো কাগজপত্রে তিনি স্বাক্ষর করেননি বলে জানালেন। তিনি এটাও জানেন না যে, মানহানির মামলা করতে গেলে কোর্ট ফি জমা দিতে হয়। এক কোটি টাকার জন্য কত টাকা কোর্ট জমা দিতে হয় সেটাও তিনি জানেন না। ঝন্টু বলেন, তার আইনজীবী এ ব্যাপারে কিছুই তাকে বলেননি।
তিনি আরও বলেন, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) আমি আইনজীবীকে বারবার ফোন দিয়েও পাচ্ছি না। আমি আইজীবীকে বলে এসেছি, তিনি আমাকে যখনই ডাকবেন তখনই আমি কোর্টে পৌঁছে যাব। আমি আইজীবীর কাছে জানতে চাইব তিনি আমাকে মামলার আনুষ্ঠানিকতা নিয়ে সব বিষয়ে জানালেন না কেন? তবে এটা নিশ্চিত যে, দীঘির বিরুদ্ধে আমি মামলা করবোই।’
দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর আইনজীবী মোহাম্মদ ফোরকান মিঞা গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু ভাই আমার কাছে এসেছিলেন। কিন্তু যে মামলার কথা বলা হচ্ছে এ ধরনের কোনো মামলাই হয়নি। তা ছাড়া মামলা করতে হলে তো কাগজপত্রে স্বাক্ষর করতে হয়, কিন্তু উনি তো আমার সঙ্গে আলাপ করেই চলে গিয়েছেন। কোনো কাগজে স্বাক্ষর করেননি।’
দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর এ ধরনের আচরণ এবং গণমাধ্যমকে বিভ্রান্ত করা নিয়েও শুরু হয়েছে সমালোচনা। কেউ কেউ বলছেন, ছবির প্রচারের জন্য দেলোয়ার জাহান ঝন্টু একের পর এক নাটক করে চলেছেন। তিনি ছবির প্রচারকে ইস্যু করে আত্মপ্রচারেও মনোযোগ দিয়েছেন। দীঘি আগেই বলেছেন, ‘যে ভিডিওটি দেখে ঝন্টু আংকেল আমার উপর চটেছেন, সেখানে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে অনেক কথা বলা হয়েছে। তারা ভিডিওটি সম্পাদনা করে অনেক কথা কমিয়ে ফেলেছেন। এছাড়া কথার পিঠে কথা এসেছে। এজন্য ঝন্টু আংকেলকে আমি সরি বলেছি। আমার অপরিপক্ক মনের কথায় ভুল-ত্রুটি হতে পারে। সে জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করেছি। তারপরও তিনি এক তরফা সব কথা বলে যাচ্ছেন।’ দীঘি অভিনীত প্রথম ছবি ‘তুমি আছো তুমি নেই’ আজ মুক্তি পাচ্ছে। এটাকে নিয়েই ঝন্টু-দীঘি সংকট তৈরি হয়েছে।
ছবিটি শেষ হওয়ার নির্মাতারা ইউটিউবে এর টিজার ও পোস্টার প্রকাশ হয়। এই নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠে। ছবিটির মান নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। ট্রেলারের একটি দৃশ্যে দীঘির হাতে বোতলের মাইক্রোফোন ব্যবহার নিয়ে ট্রলও হয়েছে। এসব নিয়ে সম্প্রতি এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে দীঘি সিনেমাটি নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। এ নিয়েই চটেছেন ঝন্টু।
দীঘি শিশুশিল্পী হিসেবে ৩০টি ছবিতে অভিনয় করেন। তিনি তিনবার শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। নায়িকা হিসেবে ‘তুমি আছো তুমি নেই’ ছবির মাধ্যমে তার অভিষেক হচ্ছে। এ ছাড়া তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিক ‘বঙ্গবন্ধু’, ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’ ছবিগুলোতে অভিনয় করেছেন।
