প্রায় ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির প্রত্যাশায় সিঙ্গাপুর
মুসা আহমেদ: বিপর্যয় কাটিয়ে অর্থনীতিতে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে সিঙ্গাপুর। লকডাউন শিথিলের পর থেকেই দেশটিতে সচল রয়েছে অর্থনৈতিক কর্মকাÐ। অস্থিরতা কমেছে শ্রমবাজারেও। যার ফলে দেশটির সরকারি পূর্বাভাসে চলতি বছরে দেশটির জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হয় ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির আর্থিক বাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থা এমএএস। সিনহুয়া
সংস্থাটির দেয়া তথ্যমতে, চলতি বছরের জিডিপি নিয়ে গেলো বছরে এমএএসের পূর্বাভাসে সাড়ে ৫ শতাংশ ধরা হয়। তবে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি ও আর্থিক বাজারে ঘুরে দাঁড়ানোর ফলস্বরূপ আগের পূর্বাভাসের তুলনায় সংশোধিত পূর্বাভাসে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়িয়ে ধরেছে সংশ্লিষ্টরা।
সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের অনেক দেশে সংক্রমণ বাড়লেও সিঙ্গাপুরে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে করোনাভাইরাস। যার ফলে অর্থনৈতিক কর্মকাÐ অব্যাহত রয়েছে দেশটিতে। অন্যদিকে বৈদেশিক পণ্যের চাহিদাও বাড়ছে দিন দিন। তিনমাস আগে বৈদেশিক বাজারে দেশটির চাহিদা যেমনটা ছিলো এখন সেই অবস্থায় অনেকটা ফিরে এসেছে সিঙ্গাপুর।
সংস্থাটির সর্বশেষ জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় সংশ্লিষ্টরা দেশটির অর্থনীতিতে প্রথম প্রান্তিকে ১ দশমিক ১ শতাংশ ধস প্রত্যাশা করছেন। এদিকে সব ধরনের পণ্যের ক্ষেত্রে দেশটির গ্রাহকমূল্য সূচক চলতি বছরে প্রবৃদ্ধি হবে ০ দশমিক ৯ শতাংশ। এর ফলে দেশটিতে মৌলিক পণ্যের মূল্যস্ফীতি দাঁড়াবে ০ দশমিক ৭ শতাংশ। এর আওতা থেকে বাদ পড়েছে আবাসন ব্যয় ও সরকারি-বেসরকারি পরিবহন ব্যয়।
অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকদের পূর্বাভাসে বলা হয়, ২০২২ সালে সিঙ্গাপুরের জিডিপি প্রবৃদ্ধি দাঁড়াবে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। অন্যদিকে এ সমযে সমন্বিত গ্রাহকমূল্য সূচকে বার্ষিকভিত্তিতে প্রবৃদ্ধি হবে ১ দশমিক ১ শতাংশ। তবে মৌলিকপণ্যের মূল্যস্ফীতির ক্ষেত্রে এ সময়ে প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১ দশমিক ২ শতাংশ।
গেলো বছরের শেষ প্রান্তিকে সিঙ্গাপুরের অর্থনীতি বার্ষিকভিত্তিতে ধসে যায় ২ দশমিক ৪ শতাংশ। তবে তৃতীয় প্রান্তিকে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ পতন দেখে সিঙ্গাপুর। এদিকে প্রান্তিকভিত্তিতে তিনমাসে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয় ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। এদিকে গেলো বছরে সার্বিকভাবে অর্থনীতিতে ধস হয় ৫ দশমিক ৪ শতাংশ। অন্যদিকে ২০১৯ সালে দেশটির জিডিপি প্রবৃদ্ধি দাঁড়ায় ১ দশমিক ৩ শতাংশ।