আমার দেশ • প্রথম পাতা • লিড ২
বাংলাদেশ-কোরিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্কে আমার কলমই ছিল শেষ ভরসা শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশের জিডিপিতে অভূতপূর্ব অগ্রগতি এসেছে : বান কি মুন
কূটনৈতিক প্রতিবেদক : সোমবার ফরেন সার্ভিস একাডেমির ‘বঙ্গবন্ধু: বাংলাদেশের প্রাণ’ শীর্ষক লেকচার সিরিজে যুক্ত হয়ে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন বেশ আবেগে আপ্লুত হয়ে বলেন, আমার ফাউন্টেনপেন দিয়েই স্থাপন হয়েছিল উভয় দেশের সম্পর্ক। যেটিকে আমরা বলে থাকি চুক্তি সাক্ষর। তিনি বলেন, ‘উভয় দেশের সম্পর্ক স্থাপনের ঐতিহাসিক সেই মুহূর্ত খুবই সন্নিকটে। বাংলাদেশ- কোরিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের সময়ে আমি নয়াদিল্লিতে কোরিয়ান দূতাবাসের কর্মকর্তা ছিলাম। চুক্তি সাক্ষর করতে গিয়ে বিপত্তি ঘটলো, কলমের কালি বের হচ্ছে না।
এ নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতেই কেটে গেলো খানিকটা সময়। আমার কলমই হলো সম্পর্কের শেষ ভরসা। যেটি এখন বাংলাদেশের কাছে সংরক্ষিত আছে।’ এটা আমার জীবনের স্মরণীয় ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, এই ঘটনাটা সাদা চোখে মনে হতে পারে এ আর এমন কী গুরুত্ব বহন করে, যেটির অস্তিত্ব অক্ষরজ্ঞান সম্পন্নদের সঙ্গেই থাকে। কিন্ত বিষয়টি মোটেই এমন নয়। যখন এটি ইতিহাস নির্মাণে জড়িত তখন আপনি সেটিকে কত মূল্য দিয়ে নিতে পারেন। বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। বঙ্গবন্ধুকে অনেক বড় নেতা হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, সমৃদ্ধ বাংলাদেশকে গড়তে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি খুবই কম সময় পেয়েছিলেন। অথচ তার বিশালতা দেখেন। শুধুই কি দক্ষিণ এশিয়া বলবেন। তৎকালীন বৈশি^ক পরিমন্ডলে তিনি হয়ে উঠেছিলেন অপ্রতিরোধ্য নেতা। তার কণ্যা শেখ হাসিনা এখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। যার হাত ধরে বাংলাদেশের জিডিপিতে অভূতপূর্ব অগ্রগতি এসেছে। শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশকে যদি ‘আইকন’ বলি মোটেই ভুল হবে না। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের সঙ্গে বান কি মুনের সম্পর্ক রয়েছে। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। বঙ্গবন্ধু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও অর্থনৈতিক বৈষম্য রোধে সারাজীবন কাজ করেছেন। বঙ্গবন্ধু শুধু স্বাধীনতার জনকই ছিলেন না, তিনি ধর্মনিরপেক্ষ, অসাম্প্রদায়িকতা, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার পক্ষে ছিলেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, বঙ্গবন্ধুর মতোই বান কি মুন সারা বিশ্বে শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে কাজ করেছেন। তারা দু’জনেই বিশ্ব শান্তির পক্ষে ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়েই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন।
ঢাকায় কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কেয়ান বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে বান কি মুন ভূমিকা রেখেছিলেন। বাংলাদেশ ও কোরিয়া সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।