
শুধু জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা বিবেচনায় বিদ্যুৎ চাহিদা নিরূপণ করা দুর্বল পদ্ধতি : সিপিডি

সোহেল রহমান : বিদ্যুৎ খাতের প্রস্তাবিত মাস্টার প্ল্যানের প্রধান দুর্বলতা হচ্ছে চাহিদার অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ। এর ফলে চাহিদার অতিরিক্ত রিজার্ভ বিদ্যুৎ সক্ষমতা তৈরি হয়েছে। বিদ্যুৎ খাতে উন্নয়নে ভুল পদক্ষেপের কারণে বড় অঙ্কের ক্যাপাসিটি চার্জ প্রদান করতে হচ্ছে, সরকারের আর্থিক ব্যয় ও পিডিবি’র ঋণের বোঝা বাড়ছে। পাশাপাশি অদক্ষতার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয়ও বাড়ছে। এমতাবস্থায় বিদ্যুতের যথাযথ চাহিদা নিরূপণের পাশাপাশি বিদ্যুৎ খাতের প্রস্তাবিত মাস্টার প্ল্যানে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) ২০১০’ বাতিলের প্রস্তাব থাকা উচিত বলে অভিমত ব্যক্ত করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ‘সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ’ (সিপিডি)।
বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত এক ভার্চুয়াল সংলাপে এসব অভিমত ব্যক্ত করেছে সংস্থাটি। সংলাপে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সিপিডি’র গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
মূল প্রবন্ধে বলা হয়, শুধু জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা বিবেচনায় বিদ্যুৎ চাহিদা নিরূপণ করা দুর্বল পদ্ধতি।
জিডিপি পরিমাপ নির্ধারণে এবং বিদ্যুতের চাহিদা ও ব্যবহারে খাত ও উপখাতওয়ারি হিসাব না-থাকা এবং যথাযথ হালনাগাদ তথ্য উপাত্তের ঘাটতির কারণে বিদ্যুৎ খাতে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার পরিবর্তে ৫ বছর মেয়াদী পরিকল্পনা করা যেতে পারে। আগামী পাঁচ বছর দেশের বিদ্যুৎ খাতে বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে এবং করোনা জনিত কারণে বিদ্যুৎ খাত হুমকির সম্মুখীন হতে পারে। মূল প্রবন্ধে বলা হয়, বিদ্যুৎ বিভাগের পরিকল্পনা মতে, ২০২৫ সাল নাগাদ দেশে আরও ২১ হাজার ৯৭৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়বে। ফলে ওই সময় বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা দাঁড়াবে ৩৬ হাজার ১৮ মেগাওয়াট। এদিকে ওই সময়ে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা দাঁড়াতে পারে ২৪ হাজার ৯৫২ মেগাওয়াট। ফলে তখন বিদুৎ উৎপাদনের অতিরিক্ত সক্ষমতা দাঁড়াবে ৩০.৭ শতাংশ। বর্তমানে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা হচ্ছে ৩৪.৭ শতাংশ। বিদ্যুৎ উপাদনের অতিরিক্ত রিজার্ভ সক্ষমতা ১০ শতাংশের মধ্যে সীমিত রাখার পরামর্শ দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী পাঁচ বছরে এটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিতে পারে।
