৫ বছরে ১২.৬৮ লাখ টন রাসায়নিক সারের ব্যবহার বেড়েছে
মতিনুজ্জামান মিটু : মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. আবদুল বারী বলেন, বর্তমানে দেশে রাসায়নিক সার ইউরিয়ার ব্যবহার কমেছে। ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক কৃষিবিদ বিধান কুমার ভান্ডার বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সারের ব্যবস্থাপানার দায়িত্ব পালন করে। মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট থেকে ‘অনলাইন ফার্টিলাইজার রিকমেন্ডেশন সিস্টেম’ নামক একটি সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে, যার মাধ্যমে সুষম সার সুপারিশ সেবা দেওয়া হচ্ছে। দেশের সব উপজেলায় এ কার্যক্রম চালু রয়েছে। দেশের যেকোনো প্রান্তের একজন কৃষক জমি ও স্থানের কয়েকটি তথ্য দিয়ে মৃত্তিকা উর্বরতা মানের ভিত্তিতে তার চাওয়া ফসলের সুষম সার সুপারিশ পাচ্ছেন। মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের ওয়েবসাইডে ঢুকে তথ্যপ্রযুক্তি সেবার মধ্যে ‘অনলাইন সার সুপারিশ’ লিংকটিতে ক্লিক করার মাধ্যমে এ সার্ভিসের সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। অনলাইন ফার্টিলাইজার রিকমেন্ডেশন সিস্টেম প্রবর্তনে ধান ফসলের ফলন শতকরা ১৫ থেকে ২৫ ভাগ এবং অন্যান্য ফসলের ফলন শতকরা ১৫ থেকে ২০ ভাগ বাড়ে, সারের অপচয় কমে, ফসলের পুষ্টিমান বাড়ে এবং মাটির স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
গত ৫ বছরে দেশে অন্যতম রাসায়নিক সার ইউরিয়ার ব্যবহার বেড়ে হয়েছে ২৫.৯৯ লাখ মেট্রিক টন। কৃষি তথ্য সার্ভিস জানায়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এর ব্যবহার ছিলো ২২.৬৯ লাখ টন। এসময় টিএসপি ৫.৮৫ লাখ টন, ডিএপি ৫.১৬ লাখ টন, এমওপি ৫.৮০ লাখ টন, জিপসাম ২.৮৬ লাখ টন, জিং ০.৬৩ লাখ টন, এনপিকেএস ০.৪৭ লাখ টন ব্যবহার হয়। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে দেশে ব্যবহার হয় ইউরিয়া ২৩.৬৬ লাখ টন, টিএসপি ৭.৪০ লাখ টন, ডিএপি ৬.০৯ লাখ টন, এমওপি ৭.৮১ লাখ টন, জিপসাম ২.৫০ লাখ টন, জিংক ০.৫৭ লাখ টন, এ্যামোনিয়াম সালফেট ০.১০ লাখ টন, ম্যাগনেসিয়াম সালফেট ০.৩১ লাখ টন ও বোরন ০.২৫ লাখ টন।
২০১৭-১৮ অর্থবছরে ব্যবহার হয়েছিলো ইউরিয়া ২৫ লাখ টন, টিএসপি ৬.৫০ লাখ টন, ডিএপি ৮.৫০ লাখ টন, এসএসপি ৮.৫০ লাখ টন, এমওপি ২.৫০ লাখ টন, জিপসাম ১ লাখ টন, জিংক ০.১০ লাখ টন, এমএপি ০.৬০ লাখ টন, অন্যান্য ০.৩০ লাখ টন ও এ্যামোনিয়াম সালফেট ০.৫০ লাখ টন। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ব্যবহার হয় ইউরিয়া ২৫.৫০ লাখ টন, টিএসপি ৭ লাখ টন, ডিএপি ৯ লাখ টন, এমওপি ৮.৫০ লাখ টন, জিপসাম ২.৮৫ লাখ টন, জিংক ০.৯৫ লাখ টন, এমএপি ০.৩০ লাখ টন, এ্যামোনিয়াম সালফেট ০.১০ লাখ টন, ম্যাগনেসিয়াম সালফেট ০.৮০ লাখ টন, বোরন ০.৪০ লাখ টন ও এনপিকেএস ০.৫০ লাখ টন। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ব্যবহার হয় ইউরিয়া ২৫.৯৯ লাখ টন, টিএসপি ৭ লাখ টন, ডিএপি ৯.২৪ লাখ টন, এমওপি ৭.৬৪ লাখ টন, জিপসাম ৩.৬০ লাখ টন, জিংক ১.১৪ লাখ টন, এ্যামোনিয়াম সালফেট ০.০৬২ লাখ টন, ম্যাগনেসিয়াম সালফেট ০.৬৫২ লাখ টন, বোরন ০.৩৬ লাখ টন ও এনপিকেএস ০.৪২ লাখ টন।