প্রথম পাতা • লিড ৫ • শেষ পাতা
মোদীর বাংলাদেশ সফরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও প্রসারিত হবে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের
মাসুদ হাসান : এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপে সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জমির বলেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তিতে বিবেচনা করলে মোদীর সফর বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের কাঠামোগত উন্নয়ন, সামাজিক ও বিনিয়োগের ক্ষেত্র বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিস্তা চুক্তি ও সীমান্তহত্যা বন্ধের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও উন্নয়নের মাধ্যমে সমাধানের দিকে নিয়ে যেতে হবে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যেসব সমস্যা এখনো অমীমাংসিত, সেগুলো অদূর ভবিষ্যতে চুক্তির মাধ্যমে সমাধানের দিকে যাবে। তিস্তা চুক্তি পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ফলে মোদী এলেই তিস্তা চুক্তি হবে, না এলে চুক্তি হবে নাÑ বিষয়টা এমন নয়। তিস্তা চুক্তির ধরনটা আলাদা।
এমন নয় যে মোদী তিস্তা চুক্তি আগে থেকেই চাইছেন, কিন্তু এখন করছেন না, বিষয়টা তেমন নয়। তবুও তিস্তা চুক্তি, সীমান্তহত্যা, রোহিঙ্গা ইস্যুসহ অন্যান্য অনেক বিষয়ই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তুলে ধরা হয়েছে। এখন দ্বিপাক্ষিক সু-সম্পর্কের মাধ্যমে উদ্যোগ নিয়ে সেগুলো ভবিষ্যতে চুক্তির মাধ্যমে সমাধান করা হবে। অমীমাংসিত সব বিষয়ই সমাধান করার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
ভারতের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতার ক্ষেত্র উন্মোচিত হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করার জন্য আমাদের প্রধানমন্ত্রী কিছু প্রস্তাব রেখেছেন ভারত সরকারের কাছে। সব মিলিয়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক বোঝাপড়া বৃদ্ধি পাবে মোদীর এ সফরে।
চীন, জাপান ও মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আছে। যদিও মিয়ানমারের সঙ্গে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে সম্পর্কের বৈরিতা আছে। মিয়ানমারের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ভালো, আবার ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ভালো হলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব থাকবে ভারতের পক্ষ থেকে।
মোদীর বাংলাদেশ সফরের ফলে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হবে। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায়, আলাপ-আলোচনায় আমাদের সেসব সমস্যা আছে সেগুলোর একটা স্থায়ী সমাধান হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।