আমদানি হচ্ছে ১ লাখ টন বিটুমিনাস অপরিশোধিত তেল
সোহেল রহমান : শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ১ লাখ মেট্রিক টন বিটুমিনাস অপরিশোধিত তেল আমদানিসহ ৭টি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে ‘সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’। এতে মোট ব্যয় হবে ১ হাজার ২৫৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।
বুধবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ক্রয় কমিটির এ ভার্চুয়াল সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সভা শেষে এক ভার্চুয়াল ব্রিফিং-এ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা আক্তার সাংবাদিকদের জানান, বৈঠকে শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ১ লাখ মেট্রিক টন বিটুমিনাস অপরিশোধিত তেল আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ‘বসুন্ধরা অয়েল অ্যান্ড গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড’ (বিওজিসিএল)-এর অধীন বসুন্ধরা বিটুমিন/অ্যাসফল্ট প্রোডাকশন প্ল্যান্টের জন্য সরকারি পর্যায়ে জি-টু-জি-এর আওতায় এই তেল ক্রয় করবে ‘বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন’ (বিপিসি)। ইন্দোনেশিয়া ভিত্তিক কোম্পানি ‘পিটি বুমি সিয়াক পুসাকু’ এই অপরিশোধিত তেল সরবরাহ করবে। এতে ব্যয় হবে ৪৩১ কোটি ১৪ লাখ টাকা। প্রসঙ্গত: ইতোপূর্বে গত বছর অক্টোবরে বসুন্ধরার প্ল্যান্টের পরীক্ষামূলক চালুর জন্য একই প্রক্রিয়ায় একই প্রতিষ্ঠান থেকে ৬৫ হাজার মেট্রিক টন অপরিশোধিত বিটুমিনাস তেল আমদানি করা হয়েছিল।
অতিরিক্ত সচিব জানান, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক ‘গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে পণ্য পরিবহনের উৎসমুখে এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন’ প্রকল্পের প্যাকেজ নং ডব্লিউপি-০১-এর পূর্ত কাজ সম্পাদনে ঠিকাদার নিয়োগের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ কাজটি পেয়েছে ‘ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড’। এতে ব্যয় হবে ৩০১ কোটি ৩৫ লাখ ৬১ হাজার টাকা।
ড. শাহিদা আক্তার জানান, বৈঠকে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মেঘনা সেতু এবং গোমতী সেতুর টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠানের মেয়াদ ৬ মাস বাড়ানোর (২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বর্তমানে এ দুই সেতুর টোল আদায়ে নিয়োজিত রয়েছে ‘সার্ভিস প্রোভাইডার কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম’ (সিএনএসএল)। বর্ধিত সময়ের জন্য ব্যয় হবে আনুমানিক ৩৫ কোটি ৫৭ লাখ ৬৬ হাজার টাকা।
তিনি জানান, সভায় ‘বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ’ কর্তৃক ১০টি ১২ টন বোলার্ড পুল টাগবোটসহ খুচরা যন্ত্রাংশ ‘ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস’-এর কাছ থেকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ক্রয়ের একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৬৬ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
অতিরিক্ত সচিব জানান, বৈঠকে খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল কেনার একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ভারতের ‘বাগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেড’ এই চাল সরবরাহ করবে। এতে ব্যয় হবে ১৭৬ কোটি ৩৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
ড. শাহিদা আক্তার জানান, বৈঠকে ‘বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন’ (বিসিআইসি) কর্তৃক ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনার একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ‘কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড’ (কাফকো) এই সার সরবরাহ করবে। এতে ব্যয় হবে ৯০ কোটি ৫৯ লাখ ৯১ হাজার টাকা।
তিনি জানান, এছাড়া সভায় ‘যমুনা ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড’ (জেএফসিএল)-এর জন্য রিফর্মড গ্যাস ওয়েস্ট হিট বয়লারসহ যন্ত্রপাতি কেনার একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। জার্মানির প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স বরসিজ প্রসেস হিট এক্সচেঞ্জ জিএমবিএইচ’-এর কাছ থেকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে এসব যন্ত্র সংগ্রহ করা হবে। এতে ব্যয় হবে ৫৬ কোটি ৬৫ লাখ ৪১ হাজার টাকা।