অসাধু ব্যবসায়ী চক্রের কারসাজিতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ
ড.ফোরকান উদ্দিন আহাম্মদ
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশে পদার্পন করেছে। এতদসত্ত্বেও এ দেশের অধিকাংশ জনগণ এখনও দারিদ্র্য সীমার মধ্যে বসবাস করছেন। বর্তমানে দেশের অন্যতম আলোচ্য বিষয় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি। কালোবাজারী, মুনাফাখোর, মজুতদার প্রভৃতির কারণে খাদ্যদ্রব্য, চাল, ডাল, তেল, লবণ, মরিচ, চিনি, দুধ থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় ও অপরিহার্য দ্রব্যগুলোর মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিদিন এবং ক্রমে এসব পণ্য সংগ্রহ কঠিনতর হচ্ছে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত মানুষগুলোর জন্য। সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার সীমাকে অতিক্রম করে অশে^র ন্যায় দ্রুতগতিতে বেড়ে চলেছে প্রতিটি পণ্যের মূল্য। বাজার ব্যবস্থায় যেন পুঁজিবাদ চাঙ্গা হয়ে ওঠেছে। ধনীরা আরও ধনী হয়ে ওঠছে আর সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষেরা কোনোরকমে খেয়ে পড়ে জীবনের সঙ্গে নিত্য যুদ্ধ করে চলেছে। এ যুদ্ধ যেন থামবার নয়। বৈষম্য ক্রমেই বেড়ে চলেছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ জনগণ আজ সীমাহীন ভোগান্তিতে আছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি বর্তমানে দেশের জাতীয় সমস্যাগুলোর অন্যতম। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ মানুষ দিশেহারা। অধিকাংশ নিত্যপণ্যের মূল্যই এখন নিম্ন-আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।
চাল, ডাল, তেলসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের মূল্য হরদম বেড়েই চলেছে। এ প্রসঙ্গে দেশের ক্রমাগত দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণসমূহ উল্লেখ করা হলো-ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির একটি প্রধান কারণ। এক শ্রেণির অতি মুনাফালোভী অসাধু ব্যবসায়ী নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুদ গড়ে তুলে বাজার নিয়ন্ত্রণ করে বলে প্রায়ই অভিযোগ ওঠে। সরকারও বিভিন্ন সময় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য এসব ব্যবসায়ীর সিন্ডিকেটকেই দায়ী করেছে। শিল্প মালিক, উদ্যোক্তা, উৎপাদক ও ব্যবসায়ীদের ওপর মোটা অঙ্কের চাঁদাবাজি দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির আরেকটি কারণ। ব্যবসায়ী এবং উৎপাদকরা চাঁদাবাজদের প্রদত্ত চাঁদার ক্ষতি দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে পুষিয়ে নেন। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হন সাধারণ ভোক্তারা। আন্তর্জাতিক বাজারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রভাব অভ্যন্তরীণ বাজারেও পড়ে। আন্তর্জাতিক বাজারে কোনো পণ্যের দাম বেড়ে গেলে অভ্যন্তরীণ বাজারে স্বাভাবিকভাবেই এর মূল্য বেড়ে যায়। শুল্ক বৃদ্ধির কারণেও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায়। সরকার কঠোর নজরদারি ও তদারকির মাধ্যমে অতিমুনাফালোভী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটকে ভেঙ্গে দিয়ে পণ্যের অবৈধ মজুদ ও কৃত্রিম সংকট বন্ধ করার মাধ্যমে এবং বাজারে পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রেখে দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণ করা অনেকাংশে সম্ভব। কিন্তু অনেক সময় প্রভাবশালী অসাধু ব্যবসায়ীগণ পার পেয়ে যাওয়ার ফলে শুল্ক কমানো সত্ত্বেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দ্রব্যমূল্য কমে না। ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ইসলামের এমন সব কালজয়ী কল্যাণধর্মী সুচিন্তিত নীতিমালা ও সুদূরপ্রসারী বাজার পরিকল্পনা রয়েছে। যা বাস্তবায়িত হলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও অনাকাক্সিক্ষত মূল্যস্ফীতি রোধ এবং সর্বোপরি বাজারের উদ্বেগজনক পরিস্থিতি ও অস্থিতিশীলতা দূর করা সম্ভব।
বর্তমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির লাগাম টেনে ধরতে ইসলামের ব্যবসায়িক নীতিমালা বাস্তবায়নের বিকল্প নেই। চালের বাজার নিয়ন্ত্রণহীন। বেড়েছে ভোজ্যতেলের দাম, আলু, পেঁয়াজ, আদা, মুরগির দামও বাড়তি। সরু চালের পর এবার মোটা ও মাঝারি মানের চাল ইরি/স্বর্ণা, পাইজাম ও লতার দামও বাড়ল। রাজধানীর খুচরা বাজারে মোটা ও মাঝারি মানের চালের দাম এক সপ্তাহের মধ্যেই দুইবার বাড়লো। প্রতি বছর ধানের মৌসুমের সময় চালের দাম কমে। কিন্তু এবার সদ্য সমাপ্ত আমনের মৌসুমেও চালের দাম কমেনি। বরং উল্টো বেড়েছে এবং এখনো বাড়ছে। এদিকে শুধু চালের দামই নয়, গত এক সপ্তাহে দাম বেড়েছে এমন পণ্যের মধ্যে রয়েছে আলু, পেঁয়াজ, আদা ও ব্রয়লার মুরগিও। এছাড়া গত প্রায় দুই মাস ধরেই ভোজ্য তেলের বাজার অস্থির। কিন্তু কেন বাড়ছে বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম তা যেন কারোরই জানা নেই। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, প্রতি বছর কোনো কারণ ছাড়াই রমজানে বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম বাড়ে। এবার রমজানের এক/দেড় মাস আগে থেকেই ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর কৌশল নিয়েছেন। যাতে রমজানে দাম বাড়ানোর জন্য সমালোচনার মুখে পড়তে না হয়।
সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) অতিসম্প্রতি তাদের দৈনন্দিন বাজারদরের প্রতিবেদনে জানায়, মোটা চাল ইরি/স্বর্ণা কেজিতে দুই টাকা করে বেড়ে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে দুই টাকা বেড়ে মাঝারি মানের চাল পাইজাম/লতা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৮ টাকা। তবে সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে সরু চাল নাজিরশাইল/মিনিকেটের দাম ৬০ থেকে ৬৫ টাকা উল্লেখ করলেও রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে দেখা গেছে তা বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৭০ টাকায়। টিসিবির হিসেবে গত এক বছরে মোটা চালের দাম ৪১ দশমিক ৭৯ শতাংশ, সরু চালের দাম ৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ ও মাঝারি মানের চালের দাম ১৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ বেড়েছে। এদিকে দফায় দফায় চালের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছে স্বল্প আয়ের মানুষ। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সরকার বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকারি ও বেসরকারিভাবে ১৬ লাখ টন চাল আমদানির উদ্যোগ নিলেও অত্যন্ত ধীরগতিতে আসছে সে চাল। এর মধ্যে বেসরকারিভাবে যাদের চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তাদের বেশির ভাগই মিল মালিক। তাদের একটি অংশ ইচ্ছাকৃতভাবে ধীরগতিতে চাল আমদানি করছে। অন্যদিকে স্থানীয় বাজারে তারাই চালের দাম বাড়াচ্ছে। তবে চাল আমদানিকারকরা বলেছেন, আমদানির অনুমতি দেওয়ার পর আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম বেড়েছে। এছাড়া সীমান্তে জ্যামসহ বিভিন্ন কারণে ভারত থেকে চাল আসতে দেরি হচ্ছে। আগামী ১৪ এপ্রিল পবিত্র রমজান শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে। এরই মধ্যে নিত্যপণ্যের বাজার বেসামাল হতে শুরু করেছে। প্রতি বছরই রোজার আগে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বৈঠক করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে। এবার প্রতিমন্ত্রী আগে থেকেই বলেছেন, পর্যাপ্ত মজুত আছে, রোজায় পণ্যের কোনো সঙ্কট দেখা দেবে না। কিন্তু মন্ত্রীর এমন বক্তব্যের সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল খুঁজে পাচ্ছে না ক্রেতা সাধারণ। পণ্যের মজুত পর্যাপ্ত থাকলে রোজার আগেই কেন বাজার এতো অস্থিতিশীল? আর এ কারণেই রোজাকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের আশংকা বাড়ছে। রোজার সময় যতো কাছাকাছি হয়, পণ্যমূল ততো বাড়তে থাকে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, রোজা আসার আগে থেকেই অসাধু ব্যবসায়ীরা কারসাজির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। অবৈধভাবে বাড়ায় মজুদ। সৃষ্টি করে কৃত্রিম সঙ্কট। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রতি বছর রমজান এলেই জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়। এমনকি কিছু পণ্যের দাম ক্রেতার নাগালের বাইরে চলে যায়। অসাধু ব্যবসায়ীরা যেন ওঁৎপেতে থাকেন এ মাসের জন্য। এসব অসাধু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে একাধিক বৈঠক করে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরগুলো। কঠোর হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়, নেওয়া হয় নানা উদ্যোগও। কিন্তু অসাধু ব্যবসায়ীরা খুবই শক্তিমান, তারা সব সময়ই থাকেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। সরকারের পক্ষ থেকে রোজায় বাজার নিয়ন্ত্রণের হাকডাক দেওয়া হলেও বাজার অনিয়ন্ত্রিতই থাকে প্রতিবার। বাজার নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ-প্রতিশ্রুতিগুলো কাগজে-কলমেই থেকে যায়। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, সর্বশেষ গত বছর রমজানে সরকারের পক্ষ থেকে দাম বাড়বে না- এমন প্রতিশ্রুতির পরও প্রতি কেজি ছোলা ৫-৮ টাকা, মসুর ডাল ২০-২৫ টাকা, পেঁয়াজ ১০-১৫ টাকা, চিনি, ৫-৬ টাকা, গরুর গোশত ৫০-১০০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১০ টাকা বাড়তি দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া ফল এবং সবজিও বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে জীবনযাত্রার সম্পর্ক ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। একটি পরিবার কীভাবে তাদের দৈনন্দিন জীবনকে নির্বাহ করবে তা নির্ভর করে তাদের আয়, চাহিদা এবং দ্রব্যমূল্যের ওপর। প্রয়োজনীয় প্রতিটি পণ্যের মূল্য যখন সহণীয় পর্যায়ে এবং সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে তখন তাদের জীবন কাটে স্বস্তিতে। অন্যদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য যখন সাধারণ মানুষের আর্থিক সংগতির সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হয়ে যায় তখন দরিদ্র এবং অতিদরিদ্র পরিবারে চলে অর্ধাহার, অনাহার এবং পারিবারিক অশান্তি। তাই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে একদিকে জনজীবনে নেমে আসে কষ্টের কালো ছায়া। অন্যদিকে মুনাফাখোরী, কালোবাজারীদের কারণে দেশে বিরাজ করে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বর্তমান এ যুগে ন্যায়সঙ্গত মূল্যে কোনো পণ্যই আর পাওয়া যায় না। প্রতিটি পণ্যেই যেন অধিক মূল্যের আগুন জ্বলছে দাউ দাউ করে। অথচ এক বা দুই দশক আগেও এই অবস্থা ছিলো না। মানুষ জীবন কাটাতো সাধ্যের মধ্যে ভালো থেকে। শায়েস্তা খাঁ’র আমলে টাকায় আট মণ চালের কথা যেন এখন রূপকথা। ব্রিটিশ শাসনামালও দেশের দ্রব্যমূল্য ছিলো নিয়ন্ত্রিত অবস্থায়। মন্বন্তর, দাঙ্গা আর ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর দেশের অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন হলেও দ্রবের মূল্য সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে ছিলো। ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মের পর অর্থনৈতিক বিপর্যয়, দুর্ভিক্ষ ও মহামারী আমাদের জীবনে অতর্কিতে হানা দেয়। ধীরে ধীরে প্রয়োজনীয় অধিকাংশ দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাহিরে চলে যেতে থাকে। আর এ ধারবাহিকতার চরম পর্যায়ে এসে মানুষ অনৈতিক ও অধর্মের পথ বেছে নেই। এক্ষেত্রে বাজার নিয়ন্ত্রণ ও পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত হলে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধ করা সম্ভব হবে। সাধারণ মানুষের ওপর দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ক্রমবর্ধমান চাপ যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব রোধ করা প্রয়োজন।
এ জন্য দেশের মজুদদারী, পণ্যের কৃত্রিম সংকট ও চোরাচালানী-কালোবাজারী রোধ করতে হবে সবার আগে। দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে হতে হবে আরও কঠোর ও দায়িত্বশীল। গ্রামীণ পর্যায়ে কৃষকদের ঋণদানসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে হবে যাতে তারা সহজে পণ্য বাজারজাত করতে পারে এবং ন্যায্য মূল্যে উৎপাদিত পণ্য বিক্রয় করতে পারে। সরকারকে প্রতিটি পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দিতে হবে। এতে করে দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার আয়ত্বে থাকবে। স্বাধীন দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের বলগাছাড়া অবস্থা দরিদ্র ব্যক্তিদের পক্ষে বজ্রাঘাততুল্য। বিভিন্ন শ্রেণির ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করছেন। সরকারকে কঠোর হাতে এসব অতিলোভী অসাধু ব্যবসায়ীচক্রকে দমন করতে হবে। প্রতিটি বাজার ও দোকানে বাধ্যতামূলকভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যতালিকা টাঙানো এবং নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রয় করা হচ্ছে কিনা, সেটি পর্যবেক্ষণের জন্য সব বাজারে দ্রব্যমূল্য মনিটরিং কমিটি গঠনের ব্যবস্থা করতে হবে। সরকার ও ব্যবসায়ীদের সদিচ্ছাই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করে দেশের সাধারণ মানুষের আরও একটু সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা প্রদানে যথেষ্ট ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
সাবেক উপ-মহাপরিচালক, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি। লেখক, কলামিস্ট ও গবেষক