প্রয়োজনের অতিরিক্ত চাল-গম কেনা হবে না জনগণের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই লকডাউন : অর্থমন্ত্রী
সোহেল রহমান : কোভিড-১৯ প্রতিরোধে জনগণের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই লকডাউন দেয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, দেশের মানুষের যেন ক্ষতি না হয় আমরা সব সময় সেদিকে লক্ষ্য রাখছি।
বুধবার ‘সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
লকডাউনে দোকানপাট বন্ধ থাকায় নিম্ন আয়ের মানুষ সমস্যায় আছে, অর্থমন্ত্রী হিসাবে তাদের জন্য কিছু করার পরিকল্পনা আছে কি নাÑ এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের যে সমস্ত কারণে লকডাউন দেয়া হয়েছে সেটা আপনারা জানেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা দেখে ব্যবস্থা নেবেন। জনগণের সেফটি সিকিউরিটির কথা মাথায় রেখে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিষয়টা আমার নয়, তাই সে বিষয়ে আমি কথা বলতে চাই না। দেশের মানুষের যেন ক্ষতি না হয় আমরা সব সময় সেদিকে লক্ষ্য রাখছি।
তিনি বলেন, করোনার প্রণোদনা প্যাকেজগুলো আমাদের মন্ত্রণালয় থেকেই ঘোষণা করা হয়েছে, কিন্তু সবগুলো প্যাকেজই প্রধানমন্ত্রীর ধারণা ও পরিকল্পনায় হয়েছে। তিনিই সেসব করে দিয়েছেন। আমরা শুধু তাঁর হয়ে এগুলো বাস্তবায়ন করেছি।
চাল আমদানির বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনের অতিরিক্ত চাল ও গম কেনা হবে না। আমরা বেশি চাল কিনবো না, বেশি কিনলে আমাদের কৃষক সম্প্রদায় ক্ষতিগ্রস্থ হবে। আবার গমও বাড়তি কিনব না যাতে আমাদের কনজিউমারদের সাফার করতে না হয়। এই দুইয়ের সমন্বয়ে আমরা কাজগুলো করে থাকি। এগুলো নির্ধারণ হয় আমাদের প্রয়োজন এবং আমাদের আগামির প্রয়োজন। আমাদের নেক্সট ফসল কখন আসবে, সেটিকে মাথায় রেখে আমাদের কাজটি করতে হয়।
অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর অনেক বেশি চাল আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে, সেই চাল কি ঠিকমতো দেশে ঢুকছে কি নাÑ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের যতটুকু প্রয়োজন সে অনুযায়ী চাল আমাদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে । কিন্তু সেখান থেকে যখন কোন সাপ্লাইয়ার তা সময় মতো দিতে পারে না, তখন আমরা এটাকে পরিবর্তন করে আরেক জায়গায় চলে যাই।
বিশ্বব্যাংকের প্রজেকশন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংক অথবা আইএমএফ বিভিন্ন দেশের জন্য প্রজেকশন করে থাকে, টাইম টু টাইম। তবে মূলত আমাদের কাজ আমাদেরই করতে হবে। আমাদের থিউরেটিক্যাল এসপেক্টে না গিয়ে প্রাকটিক্যাল এসপেক্টে ভাবতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের উন্নয়ন যাতে আরো বেশি বেশি করতে পারি এবং আমাদের পলিসি পারসপেকটিভে আইডিয়া ছিলো সেগুলো বাস্তবায়ন যেন যথাযথভাবে করতে পারি সেটাই আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য পূরণ হলে আমরা টাইম টু টাইম প্রজেকশন করি বাস্তবায়ন কতটুকু হলো। কিন্তু তারা কিছু পসিবিলিটি ও এজামপশনের উপর ভিত্তি করে প্রজেকশনটা করে। সম্পাদনা : ভিক্টর রোজারিও