স্যামসাং ইলেকট্রনিক্সের আয়ে দুই অংকের প্রবৃদ্ধি
মুসা আহমেদ : করোনাকালে মুঠোফোন, প্রযুক্তি ও ইলেকট্রনিকপণ্যের চাহিদা বাড়ছে বিশ্বজুড়ে। যার ফলে সংশ্লিষ্ট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর আয় বেড়েছে লাফিয়ে। এরই অংশ হিসেবে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে আয়ে দুই অংকের প্রবৃদ্ধি দেখেছে দক্ষিণ কোরিয়ার টেক জায়ান্ট স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স। সিনহুয়া
এক আর্থিক বিবরণীতে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়কালে স্যামসাংয়ের পরিচালন আয় দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আগের প্রান্তিকের তুলনায় যা ৪৪ দশমিক ১৯ শতাংশ বেশি। যা বিশ্লেষকদের প্রত্যাশার তুলনায় অনেক বেশি। অর্থনীতি বিশ্লেষকদের প্রত্যাশায় এই আয় ধরা হয়েছিলো ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের প্রথম তিনমাসে প্রতিষ্ঠানটির মোট আয় দাঁড়িয়েছে ৬৫ ট্রিলিয়ন ওনে। যা অনেকটা গেলো বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের রেকর্ড আয়ের মত। ওই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির আয় ছিলো রেকর্ড সর্বোচ্চ ৬৬ দশমিক ৯৬ ট্রিলিয়ন ওনে।
স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটির নিট আয় ও ব্যবসা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য এই মাসের শেষ দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে। এর আগে নিরীক্ষা কার্যক্রম ও বোর্ডসভার অনুমোদন নেয়া হবে।
বাজার বিশ্লেষকরা জানিয়েছে, চলতি বছরে শুরু থেকেই বিশ্বের অধিকাংশ দেশে চলছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। যার ফলে বাসা থেকে কাজের প্রয়োজনে মানুষের দরকার হয় বিভিন্ন প্রযুক্তিপণ্য কিংবা ডিভাইস। এছাড়া শিক্ষার্থীদের অনলাইন পাঠদানেও প্রয়াজনীয় যন্ত্রাংশের চাহিদা অব্যাহত রয়েছে। যার ফলে প্রথম প্রান্তিকে স্মার্টফোন ও গ্রাহকদের ইলেকট্রনিকপণ্যের চাহিদা ছিলো বেশি।
স্যামসাংয়ের মুঠোফোন ইউনিটে গেলো তিনমাসে পরিচালন আয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪ দশমিক ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এদিকে এ সময়কালে প্রতিষ্ঠানটির স্মার্টফোনের শিপমেন্টের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৭৫ দশমিক ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অন্যদিকে ইলেকট্রনিক্সপণ্য বিক্রি থেকে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালন আয় দাঁড়ায় ৮৯৬ দশমিক ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।