৪ দিন বন্ধ থাকার পর চিরচেনা রূপে রাজধানীর মার্কেটগুলো
শোভন দত্ত : সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, শুক্রবার থেকে সকাল ৯টা-বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিপণী বিতানসহ দোকানপাট চালু রাখা যাবে। এই সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
লকডাউনে টানা চার দিন দোকানপাট বন্ধ থাকলেও শুক্রবার থেকে তা খুলে দেওয়া হয়েছে। এদিন সকাল থেকে নগরীর মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের উপস্থিতি তেমন একটা দেখা না গেলেও দুপুরের দিকে গাউসিয়া ও নিউমার্কেটে ছিল উপচেপড়া ভিড়। তীব্র ভিড় উপেক্ষা করে কেনাকাটা করছেন সবাই। সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে দেখা যায়নি এসব মার্কেটে।
শুক্রবার দুপুরে গাউসিয়া মার্কেটে, মানুষের ভিড়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সামনে এগুনো কঠিন। গাউসিয়া মার্কেট লাগোয়া এলিফ্যান্ড রোডেও ছিল তীব্র ভিড়। একই চিত্র ছিল, মার্কেটের সামনের ফুটওভার ব্রিজেও। ফুটপাত থেকে শুরু মার্কেটের ভেতরের অলিগলিতেও ছিল উপচেপড়া ভিড়। কেউ কেউ মাস্ক পরলেও বেশিরভাগেরই মুখে তা দেখা যায়নি। দোকানীরা ক্রেতাদের সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। কোনও দোকানেই হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি পালন করতে দেখা যায়নি।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, টানা চার দিন বন্ধ থাকার পর হঠাৎ করেই দোকানপাট খুলে দেওয়া হয়। এর মধ্যে আবার আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক লকডাউনের কথা বলা হচ্ছে। এ অবস্থায় আসন্ন পয়লা বৈশাখ ও পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা কেনাকাটার জন্য মার্কেটগুলোতে ভিড় করছেন। এসময় পোশাকের ব্যবসা চাঙ্গা হয়। এছাড়া নগরবাসীও সেই ভিড়ে অংশ নিয়ে কেনাকাটা করছেন। যে কারণে মানুষের চাপ বেশি।
গাউসিয়া মার্কেটে বিভিন্ন দোকানে পোশাক কেনার জন্য ক্রেতাদের লাইন ধরে ছিল। ফুটপাতে একজন পাঞ্জাবি বিক্রেতা নাসির উদ্দিন বলেন, সকালের দিকে তেমন একটা ক্রেতা ছিল না, দুপুরের দিকে এত পরিমাণ মানুষ আসে, যেন তারা ঈদের কেনাকাটা শুরু করেছেন।
তবে নগরীর অন্যান্য মার্কেটগুলোতে দুপুর পর্যন্ত তেমন একটা ভিড় দেখা যায়নি। মালিবাগ এলাকার মার্কেটগুলো অনেকটাই ফাঁকা দেখা গেছে। একই চিত্র দেখা গেছে মৌচাক মার্কেটেও। মগবাজারের শপিংমলগুলোতেও তেমন একটা ভিড় দেখা যায়নি। বাংলাট্রিবিউন, বাংলানিউজ