আমার দেশ • নগর সংস্করণ • প্রথম পাতা • লিড ১
প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের কার্যক্রম একসঙ্গে চালানো চ্যালেঞ্জ হতে পারে টিকা পাওয়া নিয়ে সংকটে বাংলাদেশ
শিমুল মাহমুদ : ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে কেনা তিন কোটি ডোজ টিকার মধ্যে মাত্র ৭০ লাখ ডোজ টিকা হাতে পেয়েছে বাংলাদেশ। উপহার হিসেবে পেয়েছে আরও ৩৩ লাখ ডোজ। যার মধ্যে গতকাল পর্যন্ত প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৫৬ লাখ ৮৬ হাজার ৮৮৫ জন; দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ৯ লাখ ৩০ হাজার ১৫১ জন। হাতে রয়েছে ৩৬ লাখ ৮২ হাজার ৯৬৪ ডোজ। ফলে এখনই দ্বিতীয় ডোজের জন্য ঘাটতি টিকা ১০ লাখ ৭৩ হাজার ৭৭০। নিবন্ধন করে আরো অপেক্ষায় আছেন ৪ লাখ ৭১ হাজার ৪৩৩ জন। বর্তমানে দৈনিক প্রায় দুই লাখ মানুষ ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ও প্রায় ৫০ হাজার মানুষ প্রথম ডোজ নিচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, বর্তমান হারে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হতে থাকলে মজুতে থাকা ভ্যাকসিন আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে।
তৃতীয় চালানের ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন মার্চের শেষ সপ্তাহে দেশে আসার কথা থাকলেও দ্বিতীয় চালানের পর সেরামের কাছ থেকে আর কোনো ভ্যাকসিন পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশে সেরামের স্থানীয় এজেন্ট বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নাজমুল হাসান পাপন বলেন, সেরাম আমাদেরকে জানিয়েছে যে, তারা (ভ্যাকসিন) রপ্তানি করতে প্রস্তুত। কিন্তু, এজন্য ভারত সরকারের কাছ থেকে ছাড়পত্র প্রয়োজন। সে ছাড়পত্র তারা এখনো পায়নি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, পৃথিবীর ১০ টি ধন্যাড দেশের কাছে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ভ্যাকসিন রয়েছে। এর বাহিরে অন্যরা তেমন ভ্যাকসিন পায়নি। গত মাসে আমাদের যে ভ্যাকসিন পাওয়ার কথা ছিলো আমরা সেটি পাইনি। এ মাসে কবে পাবো সেটি নিয়ে আলোচনা চলছে।
তিনি বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত সেরাম ইন্সটিটিউটের সঙ্গে আলোচনা করছি। এ বিষয়ে ভারতের সরকারে সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। এছাড়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন তখন প্রধানমন্ত্রী নিজেও এ বিষয়ে গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমার ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটের পাশাপাশি চীনা সরকার ও রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করছি। আশা করছি সেখান থেকেও পজেটিভ কিছু পাবো।
মন্ত্রী বলেন, সেরাম ইন্সটিটিউটকে ৩ কোটি ভ্যাকসিনের টাকা দেওয়া আছে, আরো ৩ কোটি ভ্যাকসিনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তবে টাকা দেওয়া হয়নি। এর সঙ্গে ডব্লিওএইচও ৬ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা রয়েছে। তাদের দেওয়ার কথা ছিলো মার্চ এপিলে সেটাও পাইনি। আশা করছি মে মাসের মধ্যে পেযে যাবো।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সূত্র জানিয়েছে, এ মুহূর্তে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের কার্যক্রম একইসঙ্গে চালানোটা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। পরিকল্পনা অনুযায়ী দ্বিতীয় ডোজগুলো দেওয়া যাবে কি না, এ বিষয়টি নিয়ে আমরা এখন চিন্তিত। কারণ আমাদের হাতে যথেষ্ট পরিমাণ ভ্যাকসিন নেই’।