সপ্তাহ ব্যাবধানে মুরগির দাম কিছুটা কমলেও বেড়েছে সবজির দাম
মাসুদ মিয়া : সপ্তাহ ব্যাবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে বেগুনের কেজি ৯০ টাকা থেকে একশ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে অন্যান্য সবজি। শসা, ঢেঁড়স, বরবটির কেজি একশ টাকার কাছাকাছি।
সব ধরনের সবজি চড়া দামে বিক্রি হলেও সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা। অধিকাংশ শাকসবজির দাম কেজিতে ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। বেশিরভাগ সবজির কেজি এখন ৫০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। কিছুদিন আগেও বেশিরভাগ সবজি ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছিল। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় সবজির পাশাপাশি পেঁয়াজ দাম বেড়ে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। দুদিন আগেও ছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা।
বরবটি ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা। পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। মাঝারি আকারের একটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা।
দাম বেড়েছে ফুলকপি, বাঁধাকপি ও শিমের। ২০ থেকে ৩০ টাকা পিস বিক্রি হওয়া ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম বেড়ে ৩০ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া শিমের দাম বেড়ে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
ধুন্দল, চিচিঙ্গা কিনতেও ভোক্তাদের ৫০ টাকার ওপরে গুনতে হচ্ছে। বাজার ও মানভেদে ধুন্দলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে চিচিঙ্গা। শশা আগের সপ্তাহের মতো ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
পাকা টমেটোর দাম কিছুটা বেড়েছে। গত সপ্তাহে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পাকা টমেটোর দাম বেড়ে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। পেঁপের কেজি আগের মতো ৩০ থেকে ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গাঁজরের কেজিও দাম বেড়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
সবজির দামের বিষয়ে লক্ষ্মীবাজারের ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন বলেন, শীত চলে যাওয়ায় সবজির দাম বাড়ছে। এছাড়া লকডাউনের কারণে গাড়ি ঠিক ভাবে আসছে না। সামনে সবজির দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অপরিবর্তিত রয়েছে রসুন, আদা এবং ডিম। ফার্মের মুরগির ডিম ডজন বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। দেশি রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে দেশি আদা।
পেঁয়াজের দামের বিষয়ে পাঁচ ভাই ঘাট লেন ব্যবসায়ী নাজমুল হোসেন বলেন, পেঁয়াজের দাম কখন বাড়ে, আবার কখন কমে বলা মুশকিল। লকডাউনের কারণে পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেড়েছে।
রাজধানীর বাজারগুলোতে মাছের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে । প্রতি কেজি রুই মাছের দাম (আকারভেদে) ২০০ থেকে ৩০০ টাকায়, মাগুর মাছ ৪০০ টাকায়, প্রতি কেজি শিং মাছ (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়, মৃগেল ১১০ থেকে ১৫০ টাকায়, পাঙ্গাস ১২০ থেকে ১৫০ টাকায়, ইলিশ প্রতি কেজি (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে হাজার টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়, বোয়াল মাছ প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়, কাতল ১৭০ থেকে ২৮০ টাকায়, ফোলি মাছ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়, পোয়া মাছ ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়, পাবদা মাছ ১৫০ থেকে ২৫০ টাকায়, টেংরা মাছ ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়, টাটকিনি মাছ ১০০ টাকায়, তেলাপিয়া ১৪০ টাকায়, সিলভার কার্প ১২০ থেকে ১৪০ টাকায়, দেশি কৈ মাছ ১৫০ থেকে ৭০০ টাকা, কাঁচকি ও মলা বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকায়, আইড় মাছ ৫০০ টাকায়, রিডা মাছ ২২০ টাকায় ও কোরাল ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায়, গুড়া বেলে ১২০ টাকায়, রূপ চাঁদা মাছ কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সম্পাদনা : ভিক্টর রোজারিও