আগামী বাজেটে অগ্রাধিকার পাবে দরিদ্ররা : অর্থমন্ত্রী
সোহেল রহমান : অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘আগামী বাজেট নিবেদিত থাকবে দেশের দরিদ্র মানুষের জন্য। এরাই অগ্রাধিকার পাবে। মানুষের জীবন ও জীবিকার জন্যই বাজেটে জায়গা করে দেবো।’
বুধবার ‘সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র ভার্চুয়াল বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সম্প্রতি দুটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান দরিদ্র মানুষের নতুন একটি হিসাব দিয়েছে। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন ও আগামী বাজেটে দরিদ্রদের নিয়ে কী চিন্তা করছেন- জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, গরীব মানুষের জন্য আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে তাদেরকে দরিদ্রতা থেকে বের করে নিয়ে আসা। যারা অতিরিক্ত গরীব আছে তারা গরীব হবে এবং যারা গরীব আছে তাদেরকে আমরা মূল স্রোতধারায় নিয়ে আসবো। সেভাবেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
আর গবেষণা করে কেউ যদি কোন তথ্য দিয়ে থাকে, সেটা পরিসংখ্যান ব্যুরো দেখবে। তাদের অ্যাসেসমেন্টে আমরা গ্রহণ করবো। সেটা এখনও তৈরি হয়নি। তৈরি হলে আমরা অবশ্যই আপনাদের জানাবো।
গতবছর দরিদ্রদের অর্থ বিতরণে মিসম্যাচ হয়েছে। এ বছর ৩৫ লাখ মানুষকে আড়াই হাজার টাকা দেয়ার বিষয়টি কীভাবে করা হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মিসম্যাচটা হওয়ার কারণ হলো, যে সকল প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বা পিছিয়ে পড়া জনগণের যে মাধ্যম রয়েছে, সেখানে সরাসরি টাকা ট্রান্সফার করে দেই। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে সেটা ট্রান্সফারের উপযুক্ত থাকে না। সেজন্য একটু বিলম্ব হয়, মিসম্যাচ হয় না। তবে আমরা কাজগুলো করছি।’
প্রসঙ্গক্রমে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। সুতরাং এই আড়াই হাজার টাকা বিতরণের কাজ শিগগিরই শুরু হবে। যাদেরকে আমরা আড়াই হাজার টাকা করে দেবো, সরকারের সিদ্ধান্ত হচ্ছে, এই টাকা সরাসরি ট্রান্সফার করা। সরাসরি ট্রান্সফার করতে গেলে সিস্টেম ডেভেলপ করতে হবে। আর একবার যদি সিস্টেমে চলে আসে, তাহলে ভবিষ্যতে এরচেয়ে সহজ কাজ আর হবে না। তখন আমরা কম সময়ে অনেক বেশি কাজ করতে পারব।’
করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের সংকট রয়েছে বলে গণমাধ্যমে এসেছে। বৈঠকে ভ্যাকসিনের বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী কিছু বলেছেন কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, বৈঠকে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের একটি প্রস্তাব এসেছিলো ১৩ হাজার ৮৮১টি কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য। আমরা এসেনসিয়াল ড্রাগস থেকে ঔষধ কিনব। এর বাইরে অন্য কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়নি।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপনের বিষয়টি অনুমোদন হয়েছে। সর্বশেষ দুটি মিটিংয়ে প্রস্তাবটি ওঠার পর বাতিল হয়েছিল। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবটি আমরা বাতিল করিনি। যে শর্তগুলো ছিলো সেগুলো আমরা পূরণ করে নিয়ে এসেছি। এগুলো একই প্রকল্প। আগেরগুলোর সঙ্গে মিলিয়ে দেখলে বোঝা যাবে বিভিন্ন জিনিস এনে যুক্ত করা হয়েছে। যে সকল মহাসড়কে আমাদের পরিবহনের জন্য এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব এসেছিলো সেগুলো একটার পর একটা অনুমোদন হচ্ছে। একই জিনিসগুলো আসছে।