নিম্নবিত্তদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতা বাড়াতে হবে
ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম
আমিরুল ইসলাম : সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এই উপদেষ্টা আরও বলেন, যেখানে নগদ অর্থ দেওয়া হচ্ছে সেখানে টাকার পরিমাণ বাড়ানো এবং অন্যান্য যে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে সেগুলোরও আওতা বাড়াতে হবে। সুষ্ঠু বিতরণ নিয়ে কিছু সমস্যা আছে সেগুলো দূর করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে যে ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা দেওয়া হচ্ছে সেটা জেলা প্রশাসকদের কাছে দেওয়া হচ্ছে। আশা করা যায় তারা স্থানীয় সরকারের সহায়তা নিয়ে তালিকা অনুযায়ী সে অর্থ পৌঁছে দেবে।
এ প্রতিবেদককে তিনি বলেন, সরকার ফ্যাক্টরিগুলো চালু রেখেছে কিন্তু মানুষের যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। করোনার কারণে অনেকে চাকরি হারিয়েছে। রপ্তানি খাতের পরিস্থিতি সন্তুষজনক নয়। কাজেই গার্মেন্টস শিল্পও অসুবিধার মধ্যে রয়েছে। বেসরকারি খাতে কর্মসংস্থান বাড়ার সম্ভাবনা কম। সরকারের চেষ্টা করা উচিত গ্রামীণ অর্থনীতিতে কর্মসংস্থান কীভাবে বাড়ানো যায় তার ব্যবস্থা করা। রাস্তাঘাট, কালভার্ট মেরামত করা হোক বা নতুন করে নির্মাণ করা হোক। নানা সরকারি প্রকল্প নিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে।
সবকিছু খুলে দিলে তো করোনার মাত্রা কমবে না। সংক্রমণ কিছুটা কমলেও এখনও মৃত্যুর হার বেশি। এই অবস্থায় সার্বিকভাবে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতা বাড়াতে হবে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর নানা রকম মাধ্যম আছে। যেমন ফুডস ফর ওয়ার্ক, রুরাল ওয়ার্ক ইত্যাদি। বিভিন্ন ধরনের ভাতা রয়েছে। সবমিলিয়ে এসব ক্ষেত্রে টাকার পরিমাণ ও কাভারেজ বাড়াতে হবে। এতে কিছুটা হলেও সাধারণ মানুষের দুর্দশা লাঘব হবে। আসন্ন বাজেটেও এসব ক্ষেত্রে বরাদ্দ বাড়ানো উচিত। করোনা মাহামারির কথা মাথায় রেখে বাজেটে স্বাস্থ্যখাতকে ব্যাপক গুরুত্ব দিতে হবে এবং এর বরাদ্দ বাড়াতে হবে।
ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি (এসএমই) খাতের জন্য যে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছিলো তারা সেটা সঠিকভাবে পায়নি। যেখানে বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা প্রনোদণার সব অর্থ নিয়ে নিয়েছে। এসএমই খাতের প্রণোদনার এখন পর্যন্ত ৭০-৮০ শতাংশ বিতরণ হয়েছে। একেবারে যে পায়নি, এমনটা বলা যাবে না। কিন্তু এর বিতরণ একেবারে ধীর গতিতে হচ্ছে। দেখতে হবে এ ধরনের উদ্যোক্তাদের কার কী প্রয়োজন। শুধু অর্থ সহায়তা দিলেই হবে, নাকি তাদের সাপ্লাই লাইনে যে সমস্যা আছে সেগুলো রিজার্ভ করতে হবে।