জিম্বাবুয়েতে করোনার ক্ষতি পোষাতে অর্থের বিনিময়ে হাতি হত্যার অনুমতি
অর্থনীতি ডেস্ক : শিগগিরই ৫০০ হাতিকে গুলি করে হত্যার অনুমতি দিচ্ছে জিম্বাবুয়ে। রাষ্ট্রীয় সংস্থার তরফে এ ‘ট্রফি হান্টিং’-এর ঘোষণা এসেছে বলে জানায় সিএনএন।
দেশটির উদ্যান ও বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র টিনাশে ফারাও জানান, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে পর্যটন খাত থেকে আয় কমে যাওয়ায় মূলত এ সিদ্ধান্ত। তাদের মতে, এমন অর্থবর্ধক সিদ্ধান্ত বন্যপ্রাণ সংরক্ষণে সাহায্য করবে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রায় আড়াই কোটি ডলারের বাজেট দরকার কার্যক্রম চালানো জন্য। বিত্তশালীদের ‘শিকারের’ সুবিধা করে দিয়ে সে অর্থের একটা অংশ আয় করতে চান তারা। আফ্রিকান বন্য হাতি ‘খুবই বিপন্ন’ ও সাভান্না হাতি ‘বিপন্ন’ অবস্থায় আছে এমন ঘোষণা আসার এক সপ্তাহের মাথায় জিম্বাবুয়ে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ উদ্যোগের প্রতিবাদ করেছে দেশটির পরিবেশ ও প্রাণী অধিকার বিষয়ক গ্রুপ সেন্টার ফর ন্যাচারাল রিসোর্স গভর্নেস। তাদের মতে, এমন সিদ্ধান্ত মানুষ ও বন্য প্রাণের মধ্যে সংঘাত বাড়িয়ে তুলবে। যার শিকার হবে বনের ওপর নির্ভরশীল মানুষ। সংরক্ষণের নামে ট্রফি হান্টিং পরস্পরবিরোধী সিদ্ধান্ত। এর বদলে আরও উদ্ভাবনীমূলক ও পরিবেশবান্ধব পরিকল্পনার পরামর্শ দেওয়া হয়। শুধু জিম্বাবুয়ে নয়, গত ডিসেম্বরে ১৭০টি ‘উচ্চ মূল্যের’ হাতি হত্যার অনুমোদন দেয় নমিবিয়া। তাদের যুক্তি ছিল খরা ও হাতির সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে এ সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। সূত্র : সিএনএন, জাগোনিউজ, বাংলাট্রিবিউন। সম্পাদনা : ভিকটর রোজারিও