আগামী বছর গাড়ি পাওয়া যাবে ৮ লাখ টাকায় : হোসেন গ্রুপের এমডি বিএমডব্লিউর সব সুযোগ সুবিধা নিয়ে বাজারে আসছে ‘বাংলা কারস্’
মো. আখতারুজ্জামান : আধুনিক সুবিধা সম্বলিত মেইড ইন বাংলাদেশ কার নিয়ে ঈদের পর বাজারে আসছে দেশের প্রথম ব্র্যান্ড গাড়ি ‘বাংলা কারস্’ লিমিটেড। আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারজাত শুরু না হলেও এখন পর্যন্ত ১৩টি গাড়ি বিক্রি করেছে হোসেন গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের সহযোগী এই প্রতিষ্ঠানটি।
করোনার সংক্রমণ কম থাকলে আসছে ঈদের পর আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের বাজারে যাত্রা শুরু করবে। এখন গাড়িটির গায়ে ম্যানুফেকচারিং বাই বাংলাদেশ লেখা থাকলেও আগামী জুনের পর থেকে লেখা থাবে মেইড ইন বাংলাদেশ। এখন সরকারি কোম্পানি প্রগতি দেশের বাজারে গাড়ি ম্যানুফেকচারিং করে থাকে। বাংলা কারস্ এখন দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠান।
তবে জুন থেকে বাংলা কারস কোম্পানিই হবে একমাত্র প্রতিষ্ঠান যারা বাংলাদেশের গাতিতে মেইড ইন বাংলাদেশ লেখা গাড়ি বাজারে নিয়ে আসবে।
জানা যায়, বাংলা কারস লিমিটেড প্রাথমিক পর্যায়ে ৩০টি গাড়ি ট্রায়ালে নিয়ে এসেছে। দেশব্যাপী শোরুম ও সার্ভিস সেন্টার থাকবে কোম্পানিটির। রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় একটি শোরুম চালু করা হয়েছে। বাংলাদেশের নিজস্ব ব্র্যান্ডের বাংলা গাড়ি নির্মাণের জন্য জাপান, ইন্দোনেশিয়া ও চীনের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে হোসেন গ্রুপ।
ইশুজু ইঞ্জিন, জাপানি বডিতে নির্মিত গাড়িতে লেখা থাকবে মেইড ইন বাংলাদেশ।
বর্তমানে সব বয়সী গ্রাহকদের কাছ থেকেই বেশ সাড়া পাচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির সংশ্লিষ্টরা।
আধুনিক সব সুবিধা নিয়ে ঈদের পর বাজারে আসছে দেশীয় ব্র্যান্ডের প্রথম গাড়ি। মাত্র ৩০ লাখ টাকায় মিলবে ৭ আসনের এ গাড়ি। এটি বাজারজাত করছে হোসেন গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বাংলা কারস্ লিমিটেড। যাতে প্রথমবারের মতো ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ লেখা থাকবে।
করোনার প্রকোপ হ্রাসসহ সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরই দেশীয় ব্র্যান্ড বাংলা গাড়ি রপ্তানিতে যাবে গ্রুপটি। প্রাথমিকভাবে ৩০টি গাড়ি ট্রায়ালে আছে, এরইমধ্যে ১৩টি বিক্রি হয়ে গেছে। হোসেন গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জাকির হোসেন বলেন, আমরা এখন গাড়ি ম্যানুফেকচারিং করছি। কিছু প্রক্রিয়া চলছে। এটা শেষ হলে আমরা আমাদের গাড়িতে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ লিখতে পারবো। তখন দেশের রাস্তায় চলবে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ লেখা গাড়ি। এটা আমাদের জন্য গর্ভের বিষয়।
তিনি বলেন, বেশ কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। আমাদের এখন যে গাড়িটি বাজারে নিয়ে এসেছি সেটার মূল্য ৩০ লাখ টাকা। তবে সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর থেকে মাত্র ৮ লাখ টাকা মূল্যের গাড়িও বাজারে নিয়ে আসবো। আমাদের ৪০ লাখ টাকা মূল্যের গাড়ি তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে।
হোসেন গ্রুপের এমডি বলেন, আমাদের বড় একটি পরিকল্পনা রয়েছে। যেখানে সব ধরনের গ্রাহকদের কথা মাথায় রাখা হয়েছে। আমরা প্রাইভেট কার, ট্রাক, বাস, লরি ট্রাক, পিকআপ ও ইলেকট্রিক গাড়িও তৈরি করবো। এরপর আমরা লরিসহ ১২ ধরনের গাড়ি নামাব। আগামী বছর ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরি করা হবে।
তিনি বলেন, আমাদের এখন যে গাড়িটি বাজারে আসে এটা বিদেশি গাড়ি নয়। এটা নিজেদের নামে নিজেদের গাড়ি প্রথমবারের মতো আমরা উৎপাদন করছি। আগামী বছরের শুরু বা মাঝামাঝিতে রপ্তানিতে যাওয়ার চিন্তা করছি। কোটি টাকা খরচে মার্সিডিজ-বিএমডব্লিউ গাড়িতে একজন গ্রাহক যে সুবিধা পান বাংলা গাড়িতে সে সুবিধা মিলবে মাত্র ৩০ লাখ টাকায়। জাকির হোসেন বলেন, বিশ্বের মধ্যে আমাদের তৈরি পোশাক যেমন খুব গর্বের সঙ্গে বলে যে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ নাম বহন করবে। ঠিক তেমন আমাদের এই গাড়িও বহন করবে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’। দেশকে গাড়ি উৎপাদনে নেতৃত্ব দেবে জাপান, চীন ও ভারতের মতো। প্রথম পর্যায়ে দেশের ৮ বিভাগে থাকছে বাংলা গাড়ির শোরুম। এ ছাড়া আরও ৩০ শোরুম খুলা হবে দেশের বিভিন্ন শহরে। আমাদের থাকবে বিভিন্ন সার্ভির সেন্টার।
টয়োটা জাপানি কোম্পানি, হাভেল চায়নিজ কোম্পানি কিন্তু বাংলা কার আমাদের দেশীয় কোম্পানির গাড়ি। টাটার মতো আমরাও দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করবো। আমরা এখন ট্রায়াল প্রডাকশনে আছি, জুন-জুলাইতে আমাদের আরও গাড়ি আসবে, পুরো বিশ্ব দেখবে যে মেইড ইন বাংলাদেশের গাড়ি।