আমার দেশ • নগর সংস্করণ • প্রথম পাতা • লিড ২
মার্কেট খোলার প্রথম দিনেই ক্রেতাদের ভিড়
সুজন কৈরী : ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে কঠোর বিধিনিষেধ চলাকালেই টানা ১১ দিন বন্ধ থাকার পর রেবাবার খুলেছে দেশের শপিংমলগুলো। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আপাতত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে শপিংমল। খোলার প্রথম দিন ধোয়া-মোছা আর গোছগাছেই পার করেছেন ব্যবসায়ীরা। বিকেলের দিকে বেচাবিক্রিও কিছু কিছু হয়েছে। তবে ক্রেতা কম ছিলো। ব্যবসায়ীরা জানালেন, ঈদের ক্রেতাদের টার্গেট করে প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।
রোববার বেলা গড়ানোর সাথে বাড়তে থাকে ক্রেতা সমাগম। তবে ছিলো না ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। তবে কিছুটা ভিড় দেখা গেছে ফুটপাতের দোকানগুলোতে। মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের মাস্কের ব্যবহার দেখা গেলেও সামাজিক দূরত্বের বালাই ছিলো না। ব্যবসায়ীদের আশা, এবারের বেচা বিক্রিতে কিছুটা হলেও লোকসানের বোঝা কমবে।
রাজধানীর কয়েকটি মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতারা সবাই মাস্ক পরেই মার্কেটে রয়েছেন। মার্কেটের সামনে বসে থাকা নিরাপত্তাকর্মীরা কাউকেই মাস্ক ছাড়া প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না। সেই সঙ্গে ক্রেতাদের মলে ঢোকার আগেই স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। মিরপুরে জেন্টেল পার্ক শোরুমের ম্যানেজার তৌফিক বলেন, সরকারের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী আমাদের শোরুম পরিচালনা করছি। কাউকেই মাস্ক ছাড়া প্রবেশ করতে দিচ্ছি না। আমরা আমাদের তরফ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি স্বাস্থ্যবিধি মানার। এখন ক্রেতারা আমাদের সাহায্য করলেই হবে।
রাজধানীর মৌচাক ও আনারকলি মার্কেটেও গিয়ে বিক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান খুলতে দেখা গেছে। ক্রেতা কম ছিল। ক্রেতাদেরকেও স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা গেছে। নিরাপত্তারক্ষীরা মাস্ক পড়া ছাড়া ও স্যানিটাইজ করা ছাড়া কাউকে ঢুকতে দিচ্ছেন না। সাগর নামের এক ক্রেতা বলেন, ঈদের আগে দোকান বা শপিংমল খোলাটা খুব দরকার ছিল। কিছু কেনাকাটা করা খুব জরুরি হয়ে পড়েছিল। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আমাদের খুব উপকার হয়েছে। আমরা সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কেনাকাটা করতে এসেছি।
এ বিষয়ে দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলালউদ্দিন বলেন, আমাদের দাবি ছিল ঈদের আগে দোকানপাট খুলে দেওয়ার। সরকার আমাদের দাবি মেনেছে। তাই আমরা সরকারের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনেই মার্কেট খুলেছি। আমি সব ব্যবসায়ীদের বলবো আপনারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা করুন। আমাদের কারণে যেন করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ না হয়।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় শুরুতে ৫ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত এক সপ্তাহের জন্য বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল সরকার। পরে তা শিথিল করে শুধুমাত্র সিটির মধ্যে সীমিত আকারে যান চলাচল ও নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খুলে দেওয়া হয় শপিংমল ও দোকানপাট। আবার সংক্রমণ বাড়ায় ১৪ এপ্রিল থেকে সাতদিনের বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। পরে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সুপারিশক্রমে এর মেয়াদ ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সম্পাদনা : ভিক্টর রোজারিও