ডিএসইতে লেনদেন ১১০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে
মাসুদ মিয়া : দেশের শেয়ারবাজার রোববার সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের ব্যাপক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। গতকাল অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছে পাশাপাশি লেনদেনও সূচক বেড়েছে।
গতকাল প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ডিএসইতে লেনদেন ১১০০ কোটি টাকা ছাঁড়িয়েছে। এদিকে মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের আরোপ করা কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে এ নিয়ে লেনদেন হওয়া ৯ কার্যদিবসেই ঊর্ধ্বমুখী থাকল শেয়ারবাজার। এবিষয়ে ডিএসইর সাবেক পরিচালকও মর্ডান সিকিকিউরিটিজের ব্যববস্থাপনা পরিচালক খুজিস্তা নূর-ই- নাহারীন মুন্নী বলেন, কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে বিএসইসি শেয়ারবাজারে লেনদেন চালু রাখার সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি শেয়ারবাজারের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়িয়েছে। বিনিয়োগকারীরা এখন বিশ্বাস করছেন, যেকোনো পরিস্থিতিতে ব্যাংক খোলা থাকলে শেয়ারবাজারে লেনদেনও চলবে।
তিনি আরও বলেন, যেকোনো দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় ব্যাংক খোলা থাকলে শেয়ারবাজারে লেনদেন চালু থাকবে। এটা বাজারের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থাও বাড়িয়েছে। গতকাল লেনদেনের শুরুতেই সূচকের বড় উত্থানের আভাস পাওয়া যায়। প্রথম মিনিটের লেনদেনেই ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের শেষদিকে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আরও বাড়ে।
এতে দিনের লেনদেন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৬৩ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৪৯৮ পয়েন্টে উঠে এসেছে। এর মাধ্যমে কঠোর বিধিনিষেধের সাত কার্যদিবসে ডিএসই প্রধান সূচক বাড়ল ২৩৭ পয়েন্ট।
প্রধান সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক। এই সূচকটি আগের দিনের তুলনায় ৩০ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১১৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ১৮ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৫৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ২০১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ৭৮টির এবং ৭৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। সূচকের পাশাপাশি ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১৮৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৮৮৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনেদেন বেড়েছে ৩০৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ১১৭ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকো ফার্মার ৬৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৫০ কোটি ৯৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ।
এ ছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, রেনেটা, বাংলাদেশ ফাইন্যান্স, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, রবি, ঢাকা ইন্স্যুরেন্স এবং এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইন্স্যুরেন্স।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১৪৩ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৬২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৩৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৩২টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৩টির এবং ৪১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। সম্পাদনা : ভিক্টর রোজারিও