স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্থনীতি সচল রাখতে হবে
সালেহউদ্দিন আহমেদ
আমিরুল ইসলাম : এক বছরেরও বেশি সময় ধরে করোনা মহামারির কারণে বিপর্যস্ত দেশের অর্থনীতি নি¤œ ও মধ্যবিত্তশ্রেণির মানুষ জীবন-জীবিকা। করোনা সংকটের এই সময়কালে নি¤œ ও মধ্যবিত্তশ্রেণির মানুষের আয় ব্যাপকভাবে কমছে। লকডাউনের কারণে মানুষ তার জীবিকা অর্জনে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অপরদিকে রমজান মাসকে কেন্দ্র করে বাজারে বেড়েছে প্রায় সকল ধরনের খাদ্য পণ্যের দাম।
একদিকে আয় কমে যাওয়ায় ও অপরদিকে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার মানুষের আয় ও ব্যয়ের বৈষম্য ব্যাপকহারে বেড়েছে। সবকিছু মিলিয়ে মধ্যবিত্ত ও নি¤œবিত্তশ্রেণির এক দুর্বিষহ জীবন পার করছে। এই সংকট কাটিয়ে ওঠার ওপায় কী জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সংকট কাটিয়ে উঠতে হলে এই লকডাউনের মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে যতোটুকু সম্ভব অর্থনৈতিক কর্মকা- চালিতে যেতে হবে। অর্থনৈতিক কর্মকা- একেবারে বন্ধ করে দিলে হবে না। মাস্ক পরা বাধ্যমূলক করে এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে অর্থনৈতিক কর্মকা- চালু রাখতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি পালন করার ব্যাপারে কঠোর হতে হবে। ছোট ছোট দোকানপাট না খুললে এগুলোতে যারা সেলস্ম্যান হিসেবে কাজ করে তাদের কর্মসংস্থান হবে না।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপে তিনি আরও বলেন, সরকার থেকে শহর ও গ্রামের মানুষের জন্য যে অনুদান দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, এটা খুব দ্রুত দিতে হবে। তালিকা করা নিয়ে তালবাহানা করলে হবে না। সরকারের নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতা ও পরিমাণ বাড়াতে হবে। তিন-চার মাস ধরে বয়স্কাভাতা দেওয়া হচ্ছে না। ভাতাগুলো সঠিক সময়ে দিতে হবে। বাজারে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য মনিটর করতে হবে। যারা পণ্য উৎপাদন করে তাদের ইনটেনসিভ দিতে হবে পণ্য উৎপাদন বাড়ানোর জন্য। কৃষকদের নানাভাবে উৎসাহিত করতে হবে ফসল উৎপাদন বাড়ানেরা জন্য।
টিসিবির পণ্য ভিতরণের মাধ্যমে সবার চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে না কারণ তাদের কাছে পর্যাপ্ত মজুদ নেই। পণ্যের সরবরাহ বাড়াতে হবে। প্রয়োজনীয় পণ্য সাঠিকসময়ে আমদানি করতে হবে। পণ্যের সরবরাহ যেন কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত না হয় এবং সরবরাহের খরচ কমাতে হবে।