অভ্যুত্থান, করোনায় দ্বিমুখী সঙ্কটে দরিদ্র হয়ে যাবে মিয়ানমারের অর্ধেক নাগরিক ইউএনডিপি’র বিশ্লেষণ
আসিফুজ্জামান পৃথিল : খাবারের দাম বাড়তে থাকা, ব্যবসায় লোকসান, মজুরি কমে যাওয়া, মৌলিক সেবা যেমন ব্যাংকিং ও স্বাস্থ্যে ঘটতি, এবং সামাজিক নিরাপত্তার অভাব, কোটি কোটি মানুষকে দারিদ্রসীমার নিচে ফেলে দেবে। এমনিতেই দেশটির লাখ লাখ মানুষের আয় ১.১০ ডলারের কম। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন নারী ও শিশুরা। সিএনএন
গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে ইউএনডিপি’র বিশ্লেষণ। এতে বলা হয়েছে, দ্রুতই নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে মোট জনসংখ্যার ৪৮ শতাংশ বা আড়াই কোটি মানুষ ২০২২ সালের মধ্যে দরিদ্র হয়ে পড়বে। ২০০৫ সাল থেকে উন্নতি শুরু করা দেশটি সামনের দিনগুলোতে আবারও দারিদ্রের অতলে নিমজ্জিত হয়ে যেতে পারে। আল-জাজিরা
ইউএনডিপি’র প্রশাসক আচিম স্টেইনার বলেছেন, এটি পরিস্কার যে, সামনের দিনগুলোতে আরও দুঃখময় সময় আসতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, দেশটিতে সাপ্লাই চেইন বলে আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। ফলে দরিদ্ররা এবার খাবারের অভাবে ভুগছে।
১৫ বছর আগে মিয়ানমারের ৪৮.২ শতাংশ মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করতো। ২০১৭ সালে তা ২৪.৮ শতাংশে নেমে আসে। তবুও এটিকে এশিয়ার সবচেয়ে দরিদ্র দেশগুলোর একটি বলে বিবেচনা করা হয়। সম্পাদনা : রেজা