লাল রঙে সেজেছে বিরামপুরের প্রকৃতি
মাহমুদুল হক : গ্রীষ্মকালের বাহার কৃষ্ণচূড়া ফুল। সবুজ পাতার ফাঁকে লাল রক্তিম কৃষ্ণচূড়া ফুল ফুটেছে গাছে গাছে। এক নজর দেখলেই যেন চোখ জুড়িয়ে যায়।
কালবৈশাখীর কালো মেঘের মধ্যেও উঁকি দেয় লাল টকটকে কৃষ্ণচূড়া ফুল। কৃষ্ণচূড়া গাছের বৈজ্ঞানিক নাম ডেলোনিক্স রেজিয়া। এটি ফ্যাবেসি পরিবারের অন্তর্গত একটি গাছ, যা ‘গুলমোহর’ নামেও পরিচিত।
দিনাজপুরে বিরামপুরে শহরের বিভিন্ন অলি-গলিতে বৈশাখের খরো তাপ ভেদ করে আকাশ পানে লাল রক্তিমে সেজেছে কৃষ্ণচূড়া ফুল। বুধবার ধানহাটির তিন মাথা মোড়ে রাসিন রেস্টহাউজ চত্বরে দেখা মেলে এ কৃষ্ণচূড়া ফুলের।
ঋতুচক্রের আবর্তনে কৃষ্ণচূড়া তার মোহনীয় সৌন্দর্য নিয়ে আবার হাজির হয়েছে প্রকৃতির মাঝে। কৃষ্ণচূড়ায় লাল আবীর গ্রীষ্মকালকে দিয়েছে এক অন্য মাত্রা। বৈশাখে কৃষ্ণচূড়া তার লাল আবীর নিয়ে পাকা রাস্তার পাশে দাড়িয়ে আছে আপন সৌন্দর্যের মহিমা নিয়ে। দেখে মনে হচ্ছে ঋতু রাজ বসন্তের ভালোবাসা নিয়ে কৃষ্ণচূড়া তার সমস্ত রং প্রকৃতির মাঝে ছড়িয়ে উজাড় করে দিয়েছে।
কৃষ্ণচূড়া গাছের দিকে তাকালেই তার মুগ্ধতায় যে কেউ দৃষ্টি তৃপ্ত হবেন। তাই তো কৃষ্ণচূড়া দেখেই কবি তার ভাষায় বলেছিলেন ‘কৃষ্ণচূড়া আগুন তুমি আগুন ঝরা বানে, খুন করেছে শূন্য তোমার গুন করেছ গানে।’
জানা গেছে, কৃষ্ণচূড়া ফুল লাল ও হলুদ রঙের দুটি জাতের হয়ে থাকে। আমরা না জেনে দুটিকেই কৃষ্ণচূড়া ফুল বলে থাকি। লাল রঙের ফুলকে কৃষ্ণচূড়া ও হলুদ রঙ্গের ফুলকে রাধাচূড়া বলা হয়। তবে হলুদ রঙের রাধাচূড়া এখন তেমন দেখা যায় না বললেই চলে। আমাদের দেশে এপ্রিল মাসে এই ফুল ফোটে।
বছরের অন্যান্য সময় এই ফুল সচারচার চোখে না পড়লেও এপ্রিল-মে মাসে যখনি গাছে নতুন পাতা গজায় গাছে গাছে ফুল ফোটে তখনি যেন প্রকৃতিপ্রেমীদের নজর কাড়ে মনোমুগ্ধকর এই কৃষ্ণচূড়া। পথের মধ্যে লাল ও হলুদ কৃষ্ণচূড়া দেখলেই মনে হয় একটু থেমে যাই। প্রতিটি গ্রামে এখন কৃষ্ণচূড়ার শাখায় শাখায় লাল হলুদ ফুলের সমারহ।
কৃষ্ণচূড়া গাছ খুব একটা বড় হয় না। তবে এর ডালপালা পাইকোর গাছের মতো অনেক জায়গা পর্যন্ত বিতৃত থাকে। পরিবেশের সৌন্দর্যবর্ধক বৃক্ষ কৃষ্ণচূড়া গাছ বর্তমানে রাস্তার ধারে এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি অফিস ও উপজেলা পরিষদের আঙিনায় শোভা পাচ্ছে।
কৃষ্ণচূড়া ফুলের পাপড়ি লাল হলুদ রঙের হয় এর ভিতর অংশে হালকা হলুদ রং যুক্ত। অনেক দূর থেকে দেখলে মনে হয় গাছে গাছে যেন আগুন জ্বলছে। সম্পাদনা : ভিক্টর রোজারিও