আমার দেশ • নগর সংস্করণ • প্রথম পাতা • লিড ১
৩৬ লাখ পরিবারে নগদ সহায়তা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী যত টাকা লাগুক টিকা আনা হবে, সবাই পাবে
অর্থনীতি ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, বিপুল টাকা খরচ করে সরকার টিকা নিয়ে এসে জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনায় নিয়ে তা বিনামূল্যে দিচ্ছে। সামনে করোনার টিকা আরও আসবে, কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। ঈদে আনন্দ করুন, কিন্তু জীবনের ঝুঁকি নেবেন না। যারা মারা গেছেন করোনায়, তাদের কথাটা মাথায় রাখবেন।
চলমান করোনা পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত নি¤œ আয়ের প্রায় ৩৫ লাখ পরিবার এবং অতিসম্প্রতি ঘটে যাওয়া প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ১ লাখ কৃষক পরিবারে নগদ সহায়তা কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। রোববার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, সমাজের বিত্তবানদের মহামারিতে কষ্ট পাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। আন্তঃজেলা যান চলাচল বন্ধ থাকায় কাজ হারানো পরিবহন শ্রমিকদেরও আর্থিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে কোথাও কোনও সহায়তার প্রয়োজন হলে যাতে সেটা করা যায়, সেজন্য জেলা প্রশাসকদের অনুকূলেও অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে মানুষের সেবা করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। সবসময় দুর্গত মানুষের পাশে আওয়ামী লীগ রয়েছে। মহামারির এই সময়ে দলের নেতা-কর্মীরা মাঠে রয়েছেন। বিরোধীদলে থাকা অবস্থাতেও মানুষের পাশে ছিল আওয়ামী লীগ। অন্যান্য রাজনৈতিক দল, যারা সরকার উৎখাতের কথা বলেন, তারা আজ মানুষের পাশে নেই কেন? বুদ্ধিজীবীদের পরামর্শ বা বুদ্ধি তখনই পাওয়া যায়, যখন সব সিদ্ধান্ত বা কাজ সরকার সম্পন্ন করে ফেলে।
উদ্বোধনের দিনে ২২ হাজার ৮৯৫ জন সুবিধাভোগী মোবাইল পরিষেবার মাধ্যমে সহায়তা পান। তিন দিনে সাড়ে ৩৬ লাখ মানুষ এ সহায়তা পাবেন। দ্বিতীয়বারের মতো হাতে নেওয়া এই সহায়তা জন্য ৯১২ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ভোলা, জয়পুরহাট ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রান্ত থেকে স্থানীয় সংসদ, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও উপকারভোগীরা অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে যুক্ত থাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন।
করোনা ভাইরাস মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক, দিনমজুর, শ্রমিক, গৃহকর্মী, রিকশা ও ভ্যানচালক, মোটরশ্রমিকসহ কর্মহীন বিভিন্ন পেশার ক্ষতিগ্রস্ত ৩৬ লাখ ৫০ হাজার পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা করে নগদ অর্থ বিতরণ করা হবে। আগামী তিন দিনের মধ্যে নগদ, বিকাশ, রকেট এবং শিউরক্যাশের মতো মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) মাধ্যমে জিটুপি (গর্ভনমেন্ট টু পার্সন) ভিত্তিতে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে পৌঁছে যাবে এসব পরিবারের কাছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গতবছর করোনা মহামারির কারণে যেসব নি¤œআয়ের লোকজন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এবং কর্মহীন হয়ে পড়েছিল তাদের সহায়তার জন্য ‘নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান’ কর্মসূচি চালু করা হয়েছিল। ২০২০ সালে করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত ৩৫ লাখ নি¤œআয়ের পরিবারকে পরিবারপ্রতি ২ হাজার ৫০০ টাকা করে ৮৮০ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে বা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি এই অর্থ দেওয়া হয়েছিল। সূত্র : বিডিনিউজ, বাংলানিউজ, জাগোনিউজ। গ্রন্থনা : কেএম নাহিদ। সম্পাদনা : প্রিয়াংকা