চলচ্চিত্রের জন্য ২২ কোটি টাকা অনুদান চেয়েছে এফডিসি
অর্থনীতি ডেস্ক : সরকারের কাছে ২২ কোটি টাকা ‘অনুদান’ চেয়ে আবেদন করেছে লোকসানের মুখে ধুঁকতে থাকা চলচ্চিত্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি)।
২৬১ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতনভাতাসহ আনুষঙ্গিক ব্যয় মেটাতে ১২ কোটি টাকা ও অবসরে যাওয়া ৭২ কর্মীর আনুতোষিক (গ্রাচুইটি) ও ছুটির নগদায়ন বাবদ পাওনা মেটাতে ১০ কোটি টাকা চেয়ে আবেদন করেছে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানটি।
আবেদনটি এপ্রিলের শুরুর দিকে তথ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে জানান এফডিসির এক কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, এফডিসির আর্থিক সঙ্কটের কারণে নিজস্ব অর্থায়নে বেতন পরিশোধ করতে না পারায় সরকারের কাছে অর্থ চাওয়া হয়েছে। আবেদনটি পাওয়ার কথা জানিয়ে বলে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব (বাজেট-১) মনিরুল ইসলাম বলেন, লকডাউনের কারণে আবেদনটি এখনও মন্ত্রণালয়ে অনুমোদন পায়নি। অনুমোদন হলেই আমরা সেটি অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেব।
এর আগে ২০২০ সালে মে মাসে ১৮ কোটি টাকা চেয়ে আবেদন করেছিলেন এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে চলতি বছরের শুরুর দিকে ৭ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল।
চলচ্চিত্রের শুটিং কমে যাওয়া ও অব্যবস্থাপনাসহ নানা জটিলতার জেরবারে গত পাঁচ বছর ধরে আর্থিক সঙ্কটের মুখে নিজস্ব তহবিল থেকে কর্মীদের বেতন পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে বছর বছর অনুদানের আশ্রয় নিয়েছে এক সময়ের লাভজনক প্রতিষ্ঠানটি।
২০০৫ সালের দিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কোনও কোনও বছর ৮০ লাখ টাকার মতো আয়করই দিয়েছে এফডিসি। ২০০৬ সাল থেকে লোকসান শুরু হলেও কর্মীদের বেতন-ভাতা নিজস্ব তহবিল থেকে পরিশোধের সামর্থ্য ছিল প্রতিষ্ঠানটি। তার এক দশকের মাথায় ২০১৫ সাল থেকে কর্মীদের বেতন পরিশোধে প্রায় পুরোপুরিই অনুদানের উপর নির্ভরশীল হয়েছে এফডিসি। সূত্র : বিডিনিউজ। গ্রন্থনা : কেএম নাহিদ। সম্পাদনা : রেজা