আমার দেশ • নগর সংস্করণ • প্রথম পাতা • লিড ২
জেলার ভেতর গণপরিবহন চলবে, ৬ মে থেকে বন্ধ থাকবে ট্রেন ও লঞ্চ চলমান লক-ডাউনের মেয়াদ ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ল
সোহেল রহমান : করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে চলমান লক-ডাউনের মেয়াদ আগামী ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা। তবে আগামী ৬ মে থেকে জেলার মধ্যে গণপরিবহন চলবে। আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। এছাড়া ট্রেন ও লঞ্চ বন্ধ থাকবে।
সোমবার অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এক ব্রিফিং-এ সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ৮ দিনের কঠোর লক-ডাউন শুরু হয়। লক-ডাউনের মধ্যে পালনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ১৩ দফা নির্দেশনাও দেয়া হয়। পরবর্তীতে ৭ দিন করে দু-দফা লক-ডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সেই মেয়াদও শেষ হচ্ছে আগামী ৫ মে মধ্যরাতে।
নির্দেশনা অনুযায়ী, লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান ও শপিংমল সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রয়েছে। খোলা রয়েছে শিল্প-কারখানা। এছাড়া জরুরি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া যথারীতি সরকারি-বেসরকারি অফিস ও গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। সীমিত পরিসরে ব্যাংকে লেনদেন করা যাচ্ছে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, রোববার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে একটা সভা হয়েছে। সেখানে যেসব সুপারিশ করা হয়েছে, সেসব বিষয়ে মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত দিয়েছে। ঈদ তো ১৪ তারিখ, লকডাউন যেটা আছে, সেটা ১৬ মে পর্যন্ত এভাবেই চলবে। আর ৬ মে থেকে জেলার ভেতর গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে। এক জেলার বাস আরেক জেলায় চলবে না। লঞ্চ ও ট্রেন বন্ধ থাকবে।
এতে ঈদে ঘরমুখী মানুষের বাড়ি ফেরায় ভোগান্তি বাড়বে কি নাÑ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঈদে সরকারি ছুটি তো তিনদিন, এর মধ্যে দুইদিন পড়ছে শুক্র ও শনিবার। তিনদিনের বাইরে কোনো ছুটি দেয়া হবে না।
মানুষকে মাস্ক পরাতে সরকার ‘কঠোর অ্যাকশনে যাচ্ছে’ জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পুলিশ ও সিটি কর্পোরেশন এবং প্রশাসন দেশের প্রত্যেকটি মার্কেটে সুপারভাইজ করবে। যদি কোনো মার্কেটে বেশি লোক হয়, তা কন্ট্রোল করা যাবে না, তবে মাস্ক ছাড়া যদি বেশি লোকজন ঘোরাফেরা করে, তাহলে প্রয়োজনে সেসব মার্কেট বন্ধ করে দেব। দোকান মালিক সমিতি এ বিষয়ে সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তারা নিজেরাও এটা সুপারভাইজ করবেন।
তিনি আরও বলেন, গণপরিবহন মালিকরা আমাদের কথা দিয়েছেন, কোনভাবেই গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করা হবে না। লঙ্ঘন করা হলে বন্ধ করে দেয়া হবে। সেই নির্দেশনাও দেয়া আছে। সম্পাদনা : রেজা