খালেদা সিসিইউতেই আছেন অবস্থা স্থিতিশীল : মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক : সোমবার রাতে বেগম জিয়ার শ্বাসকষ্টের সমস্যা হওয়ায় ওনাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়েছে। উনি এখনো সিসিইউতেই আছেন। এখন অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। বেগম জিয়া এখন স্থিতিশীল আছেন।
তবে তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর । মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও মহান মে দিবস উপলক্ষে ভার্চ্যুয়াল আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব একথা বলেন।
খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির জন্য দোয়া করে মির্জা ফখরুল বলেন, তিনিই আমাদের প্রতীক। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া এই দেশের মানুষের হৃদয়ের মধ্যে শুধু নয়, তিনি এই দেশের মানুষের একমাত্র পরিচালক। আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করি তিনি যেন রোগমুক্ত হন।
‘একই সঙ্গে যিনি হাল ধরেছেন আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যেন দেশে ফিরে আসতে পারেন। আমাদের ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়েছে সেই মামলাগুলো যেন আমরা তুলে নিতে পারি। আমাদের কয়েক হাজার নেতাকর্মী কারাগারে রয়েছেন তাদের যেন মুক্ত করতে পারি এবং শ্রমিক শ্রেণির যে অধিকার সেটা আমরা যেন প্রতিষ্ঠা করতে পারি। ’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা দেখি করোনার প্রণোদনার মধ্যে শ্রমিক ভাইদের জন্য কোনো বরাদ্দ রাখা হয়নি। যা কিছু প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে মালিক শ্রেণিকে দেওয়া হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং আওয়ামী লীগের যারা দোসর, তারাই সব নিয়ে চলে যাচ্ছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, তারা একদলীয় রাবারস্ট্যাম্প পার্লামেন্ট গঠন করেছে। আইন-বিচার ব্যবস্থা, প্রশাসন সম্পূর্ণভাবে দলীয়করণ করেছে। সবচেয়ে মারাত্মকভাবে যেটা করেছে সেটা হলো নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যে একটা পরিবর্তনের ব্যবস্থা ছিল সেই নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করেছে। এই পরিস্থিতির মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে যে দায়িত্ব বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনগুলোর ওপর এসে পড়েছে, সেটা হলো এই দেশে গণতন্ত্র আমাদের ফিরিয়ে আনতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। এটা শুধু বিএনপির জন্য নয়, কাউকে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী বা বিভিন্ন জায়গায় বসানোর জন্য নয়। এটা এই দেশের মানুষকে তার অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য করতে হবে। একটা সত্যিকার অর্থে সফল রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য। আজ বাংলাদেশ একটা ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত হয়েছে। ’ মাওয়া ঘাটে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণ করে তিনি বলেন, আর একটা সমস্যা। স্পিডবোটের ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। আজ লকডাউন দিয়েছে কোথাও কোনো লকডাউন নেই। পরিবহন চালু করলো, আন্তঃজেলা হবে না, শুধু জেলাগুলোর মধ্যে থাকতে হবে। এতেই বোঝা যায় যে তারা কতটা দায়িত্বহীন।
শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেইনের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও শ্রমিকদলের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম খান, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম-মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়া, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নাসিম, শ্রমিকদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম বাদল, শ্রমিক দল মহানগর দক্ষিণের সিনিয়র সহসভাপতি সুমন ভূইয়া, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক কহিনুর মাহবুব প্রমুখ বক্তব্য দেন।