জুন পর্যন্ত নতুন কোনো পূর্ত কাজের অনুমোদন দেয়া হবে না : অর্থমন্ত্রী
সোহেল রহমান : চলতি অর্থবছরের সময় প্রায় শেষ হয়ে যাওয়ায় আগামী জুন পর্যন্ত ক্রয় কমিটিতে নতুন কোন পূর্ত কাজের অনুমোদন দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বুধবার ‘সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র ভার্চুয়াল বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র সভায় ‘ঢাকাস্থ মিরপুর পাইকপাড়ায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বহুতল আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় পূর্ত কাজ সম্পাদনে গণপূর্ত অধিদপ্তরের পাঁচটি পৃথক প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। এর একটিও অনুমোদন দেয়া হয়নি।
এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে গণপূর্ত বিভাগের যে প্রকল্পগুলো ছিলো, সেগুলো আমরা বিবেচনা করিনি, কারণ এখন সময় নেই। চলতি অর্থবছরে এ কাজগুলো শেষ করা যাবে না। অর্থবছরের সময় আছে মাত্র একমাস। চলতি মাস বাদ দিলে শুধু জুন মাস বাকি আছে। সেজন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, গণপূর্ত বিভাগের যেগুলো চলমান কাজ সেগুলো চলবে এবং বিদেশী অর্থায়নের কাজগুলো চলবে। এছাড়া নতুন যেসব প্রকল্প যেগুলো লম্বা সময় লাগে কাজ শেষ করতে এবং এক থেকে দেড়মাসের মধ্যে শেষ করা যাবে না, সেগুলো পরে কাজ শুরু করতে হবে। কারণ নির্মাণ সামগ্রীর বর্তমান দর স্বাভাবিক অবস্থায় নেই, এগুলোর মূল্যও আমরা সেভাবে জানি না। সুতরাং অনুমানের ওপর ভিত্তি করে আমরা কোন প্রকল্প অনুমোদন দিতে পারব না। সেজন্য আমরা ঠিক করেছি, এখন থেকে আগামী জুন পর্যন্ত গণপূর্ত বিভাগের নতুন কোন প্রকল্প আমরা অনুমোদন দেব না। এটা আমরা পরিস্কার করে দিয়েছি। ‘চলতি অর্থবছরে নতুন কোন পূর্ত কাজ অনুমোদন দেয়া হবে না অর্থ বিভাগের সেই পরিপত্র বাস্তবায়ন করা হচ্ছে’ জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থ বিভাগের সার্কুলারের পরিপ্রেক্ষিতেই আমরা গণপূর্ত বিভাগের নতুন কোন প্রকল্পের অনুমোদন দেইনি। যে সকল প্রস্তাব এসেছিল আমরা তা বিবেচনা করিনি। উল্লেখ্য, গত ২৬ এপ্রিল জারিকৃত অর্থ বিভাগ এক পরিপত্রে বলা হয়েছে, চলমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা ও সরকারের কৃচ্ছসাধন নীতির আলোকে চলতি অর্থবছরের (২০২০-২১) অবশিষ্ট সময়ে পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় নতুন কোন পূর্ত কাজের কার্যাদেশ প্রদান করা যাবে না। তবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয় এ পরিপত্রের আওতা বহির্ভূত থাকবে বলে পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়। সম্পাদনা : রেজা