বৈদ্যুতিক ট্রেনের যুগে প্রবেশ বাংলাদেশের প্রদর্শনের জন্য চালানো হলো মেট্রোরেলের প্রথম সেটের বগি
কেএম নাহিদ : বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজের ৬৩ দশমিক ২৬ শতাংশ সার্বিক গড় অগ্রগতি হয়েছে। প্রথম পর্যায়ের নির্মাণের জন্য নির্ধারিত উত্তরা তৃতীয় পর্ব হতে আগারগাঁও অংশের পূর্ত কাজের অগ্রগতি ৮৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ। মঙ্গলবার উত্তরার মেট্রোরেল ডিপোতে প্রথম মেট্রোট্রেন সেট এবং মেট্রোরেল নির্মাণ প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মাণের জন্য নির্ধারিত আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের পূর্ত কাজের অগ্রগতি ৫৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল সিস্টেম, রোলিং স্টক ও ডিপো ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ কাজের সমন্বিত অগ্রগতি ৫৪ দশমিক ৪০ শতাংশ। এ সময় উত্তরা ডিপোতে জাপানের অ্যাম্বাসেডর এবং জাইকার কান্ট্রি ডিরেক্টর উপস্থিত ছিলেন।
উত্তরার দিয়াবাড়ির ডিপো এলাকায় রাখা হয়েছে জাপান থেকে আনা মেট্রোরেলের ছয়টি বগি। ডিপোটিতে আজ প্রদর্শনের জন্য চালানো হয়েছে মেট্রোরেলের প্রথম সেটের বগি। বেলা পৌনে ১২টার দিকে গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে এই বগি দেখানো হয়।
ডিপো এলাকায় বগিগুলো উপস্থাপনের অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মোংলা বন্দর থেকে আসার পর গত ২৩ এপ্রিল প্রকল্প এলাকার পাশের জেটি থেকে ডিপো এলাকায় স্থানান্তর শেষ হয় বগিগুলো। এদিকে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড-ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, প্রথম সেটের ছয়টি বগি রয়েছে। এগুলোর পরীক্ষামূলক চলাচল এ মাসেই শুরু হবে। আমরা সেজন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।
রাজধানীর উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত হচ্ছে প্রায় ২০ কিলোমিটারের মেট্রোরেল। গত ২১ এপ্রিল ছয় কোচ বিশিষ্ট প্রথম সেট নদী পথে উত্তরার দিয়াবাড়ি ডিপোর নবনির্মিত ডিএমটিসিএল জেটিতে পৌঁছে। ২২ এপ্রিল তিনটি বগি স্থানান্তর করা হয়। পরদিন বাকি তিন বগির স্থানান্তর হয়।
জানা গেছে, মেকানিক্যাল-ইলেকট্রিক্যাল, ওয়াশিংসহ প্রতিটি কোচের ১৯ ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়েছে। এরপর এসব বগি রেলপথে চালানোর জন্য প্রস্তুত করা হবে। মেট্রোরেলের জন্য তৈরি করা দ্বিতীয় সেটের বগিও জাপানের কোবে সমুদ্রবন্দর থেকে মোংলায় এসেছে। প্রতি ট্রেনে ছয়টি করে কোচ থাকবে। মেট্রোরেলের জন্য মোট ২৪ সেট ট্রেনে মোট ১৪৪টি কোচ আনা হবে। ছয় কোচের প্রতিটি ট্রেনে যাত্রী পরিবহনের ধারণ ক্ষমতা ২ হাজার ৩০৮ জন। মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজের সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৬৪ শতাংশ। সূত্র : জাগোনিউজ, ঢাকা পোস্ট।