নারায়ণগঞ্জে বৃদ্ধা হত্যা রহস্য উন্মোচন, ভাড়াটিয়া দম্পতি গ্রেপ্তার
সুজন কৈরী : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের কাউচর এলাকায় বৃদ্ধা হোসেনে আরা বেগমের হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ ঘটনায় জড়িত থাকায় এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন হারুন অর রশীদ ও তার স্ত্রী সুলতানা খাতুন। তারা নিহতের বাড়ির ভাড়াটিয়া। বুধবার দুপুরে সিআইডির সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ইমাম হোসেন বলেন, গত ৮ মে রাতে কাউচর এলাকায় বাড়ির মালিক আজিম উদ্দিনকে চা-বিস্কুটের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ানো হয়। তাকে অজ্ঞান করার পর আজিমের স্ত্রী হোসেনে আরা বেগমের মুখে গামছা ভরে স্কসটেপ পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর তাদের ঘর থেকে নগদ দুই লাখ টাকা ও তিন ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার পরদিন সোনারগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়।
ইমাম হোসেন আরও বলেন, গ্রেপ্তার হারুন অর রশীদ আটরশির একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেছেন। সেখানে পড়ালেখা শেষে মানুষদের ধর্মীয় শিক্ষা দিতেন। করোনার কারণে বেকার হয়ে সোনারগাঁও এলাকার কাউচর গ্রামে কারাখানায় কাজ নেন এবং হোসেনে আরা বেগমের বাড়িতে ভাড়া নেন। সেখানে তার সঙ্গে সুমন ও শিপন নামে দুজনের পরিচয় হয়।
সিআইডি জানায়, এর আগে আরও একবার চায়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে আজিম উদ্দিনকে অজ্ঞান করা হয়েছিলো।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, হারুন অর রশীদের স্ত্রী সুলতানা খাতুন বিদেশে ছিলেন। কিছুদিন আগে দেশে এসেছেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী হোসনে আরা বেগমের স্বামীকে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে চা বিস্কুট খেতে দেয়। তবে সেদিন অসুস্থ হয়ে পড়লেও তারা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারেননি। দ্বিতীয় পরিকল্পনায় আজিম উদ্দিনকে চা-বিস্কুটের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অজ্ঞান করে হোসেনে আরাকে হত্যা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, অপরাধ সংঘটনের পর সিআইডি ছায়া তদন্ত করে। ঘটনার সাথে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ ও নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে আসামির সম্ভাব্য লুকিয়ে থাকার স্থানে অভিযান চালানো হয়। অবশেষে সিআইডির চৌকসদল চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার মূলহোতাদের অবস্থান শনাক্ত করে গাজীপুরের জিরানি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকা-ের দায় স্বীকার করেছেন। সম্পাদনা : ভিক্টর রোজারিও