আমার দেশ • নগর সংস্করণ • প্রথম পাতা • লিড ৩
চলতি মাসেই উৎপাদন ইনসেপটাকে চীনের টিকা উৎপাদন অনুমতি
নিজস্ব প্রতিবেদক : চীনের সিনোফার্মের টিকা উৎপাদন করতে ইনসেপটাকে অনুমতি দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। চলতি মাসেই টিকা উৎপাদনে যাবে প্রতিষ্ঠানটি। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেছিলেন, ‘আমাদের বেশ কয়েকটি ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানির করোনা টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা থাকলেও সরকার বর্তমানে তিন কোম্পানির টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা যাচাই করবে। এটা আমাদের বিশেষজ্ঞ কমিটি থেকে সুপারিশ করা হয়েছে।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘উৎপাদনে সক্ষমতা আছে এমন তিন চারটি কোম্পানি আমাদের কাছে আবেদন করেছিল। আমরা বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয় দেখে ইনসেপটাকে টিকা উৎপাদনের অনুমতি দিয়েছি। এ মাসেই তারা কাজ শুরু করবে।’ এ ব্যাপারে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর জানিয়েছিল, ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যালস, পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস, হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডকে টিকা উৎপাদনে অনুমতি দেয়া যায় কিনা তা প্রাথমিক সক্ষমতা যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে টিকা সংগ্রহ ও বিতরণ বিষয়ক আন্তমন্ত্রণালয় সংক্রান্ত কমিটি।
এ ছাড়া, রেনেটা এবং ওরিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালস রাশিয়ার টিকা উৎপাদনের অনুমতি চেয়ে ঔষধ প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছে।
গত ২ মে রাশিয়কে এ বিষয়ে চিঠি দিয়েছে ওরিয়ন ফার্মা। এর দুই দিন পর ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে সেই বিষয়টি তারা জানিয়েছে।
চীনের টিকার পাশাপাশি রাশিয়ার টিকাও উৎপাদন করতে আগ্রহী পপুলার, হেলথকেয়ার, ইনসেপটা ও রেনাটা। এ জন্য রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগও করেছে কোম্পানিগুলো।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেছিলেন, ‘আমাদের বেশ কয়েকটি ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানির করোনা টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা থাকলেও সরকার বর্তমানে তিন কোম্পানির টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা যাচাই করবে। এটা আমাদের বিশেষজ্ঞ কমিটি থেকে সুপারিশ করা হয়েছে।’
বাংলাদেশে করোনা প্রতিরোধী গণটিকার প্রয়োগ চলছে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত কোভিশিল্ড টিকা দিয়ে। প্রতিষ্ঠানটি থেকে ৩ কোটি ডোজ টিকা আনার জন্য চুক্তি রয়েছে সরকারের। কিন্তু এ পর্যন্ত মাত্র ৭০ লাখ ডোজ টিকা দিতে পেরেছে সিরাম। বাকি টিকা নিয়ে তৈরি হয়েছে বড় অনিশ্চয়তা।
ভারত টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ায় টিকার সংকটে পড়েছে বাংলাদেশ। সংকট নিরসনে সরকার বিকল্প উৎস থেকে টিকা পেতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এর অংশ হিসেবে গত ২৭ এপ্রিল রাশিয়ার মস্কোর গামালিয়া ইনস্টিটিউটের তৈরি স্পুৎনিক-ভি ও ২৯ এপ্রিল চীনের সিনোফার্মের টিকাকে জরুরি প্রয়োগের অনুমোদন দেয়া হয়। এই দুটি দেশ থেকে টিকা কেনার পাশাপাশি তাদের টিকা দেশে উৎপাদনের প্রযুক্তি নিতে চায়।
সেসব দেশ থেকে টিকা কিনে আনার পাশাপাশি ফর্মুলা গোপন রাখার শর্তে চীন ও রাশিয়ার টিকা দেশেই উৎপাদন করতে চায় সরকার। সরকারের এই কাজে সহযোগিতা করবে দেশীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এক্ষেত্রে তিনটি প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা আছে বলে জানিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। সম্পাদনা : রেজা