‘অর্থনীতিতে চাঞ্চল্য তৈরির বাজেট দরকার’
আমিরুল ইসলাম : অধ্যাপক আবু আহমেদ আরও বলেন, করোনাকালে বাজেটে দরিদ্রদের জন্য বেশি করে সাহায্য-প্রণোদনার ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন। শেয়ারবাজারের কর্পোরেট ইনকাম ট্যাক্স কমানো উচিত। খাদ্য সংকট যাতে দেখা দিতে না পারে, সেজন্য বেশি করে খাদ্য আমদানি করে রাখতে হবে।
এ প্রতিবেদককে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতে যে বাজেট দেওয়া হয় সেখানে দুর্নীতি হয় বেশি। স্বাস্থ্যখাতে বাজেট দিলে সেটা তলানিতে চলে যাবে। তবে করোনা সংকটে স্বাস্থ্যখাতে বেশি বাজেট দেওয়া উচিত। স্বাস্থ্যখাতে যত রকম অনিয়ম হয় তা আর কোনো খাতে নেই। বাংলাদেশের সবচেয়ে দুর্নীতিপ্রবণ খাত হচ্ছে স্বাস্থ্যখাত। বাজেট দেওয়া মানে জনগণের করের অর্থ দেওয়া। এই অর্থ যেন কেউ চুরি করতে না পেরে সেটা দেখতে হবে। একটা ব্যাগের দাম যেখানে এক হাজার টাকা সেখানে তারা এর বাজেট করেছে পাঁচ হাজার টাকা। যারা প্রশাসনে আছে তারা এর সঙ্গে জড়িত। এ খাতে প্রশাসনিক নজরদারি বাড়াতে হবে। সৎ লোকদের দায়িত্ব দিতে হবে। স্বাস্থ্যখাতের অর্থ যেন সঠিকভাবে ব্যয় করা হয় তার জন্য মনিটরিং করতে হবে।
লেখাপড়া ব্যতীত শিক্ষাখাতের সবাইকে বসিয়ে বেতন-ভাতা দিতে পারলে দেওয়া যায় কিন্তু বাংলাদেশের মতো দেশ এটা পারে না। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলছে না। দেড় বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকে কীভাবে। ইনএফিসিয়েন্ট অর্থনীতি আমরা চালাচ্ছি। আমাদের অর্থনীতির এফিসিয়েন্সি এখন কম। যার কারণে আমার অর্থনৈতিক গ্রোথ যা হওয়ার কথা সেটা হচ্ছে না। গরিব লোকগুলো পিষ্ট হচ্ছে। লকডাউন দিয়ে দরিদ্র লোকদের কাছ থেকে কর্ম কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। চলাচলে বাধা দেওয়ার বিষয়টি গরিব লোকদের বিরুদ্ধে যাচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মানিয়ে পুরো অর্র্থনীতি খুলে দেওয়া উচিত।
তিনি বলেন, কৃষিতে জোর দিতে হবে। কৃষিখাতে বাজেট যত বেশি বাড়ানো যায় আমাদের জন্য ততই মঙ্গল। কারণ আমাদের দেশের জন্য কৃষি খুব প্রয়োজন। বিদেশ থেকে খাদ্য আমদানি করতে গেলে বহু ফরেন একচেঞ্জ যাবে আর বিদেশে খাদ্যের দাম বাড়াবে। আমাদের যথেষ্ঠ পরিমাণ খাদ্য রিজার্ভ রাখতে হবে। আমাদের জনসংখ্যা বেশি হওয়ায় যখনই খাদ্য সংকট দেখা দেবে তখনই রপ্তানিকারক দেশগুলো দাম বাড়িয়ে দেবে। করোনার কারণে আমদানি-রপ্তানি কমে গেছে। আমদানি কমে যাওয়ায় আমাদের রিজার্ভ বাড়ছে। রিজার্ভ বাড়লে বাংলাদেশের সাহস বাড়বে। তখন বাইরে থেকে যেকোনো পণ্য নগদ টাকায় ক্রয় করা যাবে। রিজার্ভ থাকলে আইএমএফ ও ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের কাছে অর্থের জন্য হাত পাততে হবে না। সম্পাদনা : রেজা