পোশাক শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির লাইফ লাইন
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, পোশাক শিল্প শুধু আমাদের অর্থনীতির লাইফ লাইনই নয়, নারীর ক্ষমতায়নেও অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। মানুষের জীবন বদলে দিয়েছে।
সোমবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেল ও তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র মধ্যে ‘সেন্টার অব ইনোভেশন, এফিশিয়েন্সী অ্যান্ড অকুপেশনাল হেল্থ অ্যান্ড সেইফটি’ শীর্ষক এক ‘ইনোভেশন সেন্টার’ স্থাপনের লক্ষ্যে এক সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেল ও বিজিএমইএ’র মধ্যে স্বাক্ষরিত এ সমঝোতা স্মারক গার্মেন্টস শিল্পকে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহজতর করবে এবং বাংলাদেশ উত্তরত্তোর অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে দ্রুত এগিয়ে যাবে। এই শিল্প খাত থেকে বর্তমানে যে পরিমাণ রপ্তানি করা হয়ে থাকে হাই-অ্যান্ড ফ্যাশন ও স্টাইলের একই পরিমাণ পণ্য রপ্তানি করে প্রায় দ্বিগুন বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।
বিজিএমিইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে আগামী দিনে একটি টেকসই শিল্প বিনির্মাণের গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি স্থাপন হয়েছে। পোশাক খাতের উদ্ভাবনী ও ব্যবসায়িক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং দেশিয় ঐতিহ্যকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরার মাধ্যমে শিল্পের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এই উদ্যোগকে তিনি স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, এই ইনোভেশন সেন্টারের মাধ্যমে শিল্পের উৎকর্ষতা অর্জনে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
সভাপতির বক্তব্যে বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন বলেন, তৈরি পোশাক শিল্প বিগত কয়েক দশকের ও অধিক সময় ধরে বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যে যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে, এই ইনোভেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠার পর তা এই শিল্পের বহুমুখীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। হাই-অ্যান্ড পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানির মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এই সেন্টারের মাধ্যমে ইন্ডাস্ট্রিয়াল এবং প্রোডাকশন প্ল্যানিং ইঞ্জিনিয়ারিং এবং টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং স্নাতকদের ভোকেশনাল ট্রেনিং ও জব ট্রেনিং-এর ব্যবস্থা করা হবে। থ্রি-ডি ডিজাইনিং এবং ভার্চুয়াল প্রোটোটাইপিংয়ের মতো প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পণ্যের উৎকর্ষতা অর্জনের মাধ্যমে শিল্পের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে, যা সময় ও অর্থের ব্যবহার নিশ্চিত করবে।
একইসঙ্গে এ কেন্দ্রের মাধ্যমে একজন খ্যাতিমান ফ্যাশন ডিজাইনারের তত্ত্বাবধানে একটি পাইলট প্রোগ্রাম চালু করা হবে এবং স্থানীয় ঐতিহ্যকে উচ্চমানের ফ্যাশনে রূপান্তরিত করে বিশ্বব্যাপী আবেদন তৈরির মাধ্যমে ‘ব্র্যান্ড স্টোরি’ তৈরি করা হবে। এ উদ্যোগ মধ্যস্তরের ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্রে কারখানার কর্মীশক্তি গড়ে তুলতে সহায়তা করবে। সম্পাদনা : প্রিয়াংকা