মালয়েশিয়ার সঙ্গে এফটিএ স্বাক্ষরের কাজ চলছে : বাণিজ্যমন্ত্রী
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি বলেছেন, মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানোর অনেক সুযোগ রয়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। দেশটির সঙ্গে ‘মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি’ (এফটিএ) সইয়ের জন্য বাংলাদেশ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ।
বুধবার ‘বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’ (বিএমসিসিআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া এফটিএ : চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড অপরচুনিটি’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিএমসিসিআই) এর প্রেসিডেন্ট রাকিব মোহাম্মদ ফখরুল-এর সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সদস্য ড. মোস্তফা আবীদ খান।
বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের একাধিক চুক্তি রয়েছে। এর মধ্যে ১৯৭৭ সালে মালয়েশিয়ার সঙ্গে ‘বাইলেটারেল ট্রেড এগ্রিমেন্ট’, ১৯৮৩ সালে ‘মেরিটাইম ট্রান্সপোর্ট এগ্রিমেন্ট’, ১৯৯২ সালে ‘ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন এগ্রিমেন্ট’ এবং ১৯৯৪ সালে ‘এভোয়েডেন্স অফ ডাবল টেক্সেশন এগ্রিমেন্ট’ সই করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাণিজ্যে এগিয়ে যাবার জন্য বাংলাদেশ বাণিজ্য সহজীকরণের সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
এফটিএ’র মতো বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে টেকসই বাণিজ্য সুবিধা সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ব্যবসা-বাণিজ্য করার সুযোগ সৃষ্টি করতে বাংলাদেশ কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। প্রসঙ্গক্রমে বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ এখন আকর্ষনীয় স্থান। বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যর ক্ষেত্রে অনেক সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করা হয়েছে। বিনিয়োগের নীতিমালা সহজ করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন গ্ররুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।
অনেকগুলোর কাজ এখন চুড়ান্ত পর্যায়ে। পৃথিবীর অনেক দেশ এই ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে এসেছে। মালয়েশিয়া এখানে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবে।