ভোজ্যতেলের মূল্য নিয়ন্ত্রণে ভর্তুকি প্রয়োজন : বিডি রহমতউল্লাহ
আমিরুল ইসলাম : করোনাকালে একদিকে মানুষের আয় কমেছে, অপর দিকে প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলছে। বিশ^বাজারে দাম বেড়ে যাওয়াকে কারণ হিসেবে দেখিয়ে দেশে ভোজ্যতেলের দাম লিটারে এক লাফে ১২ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১২৯ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৫৩ টাকা ও পাম সুপার তেল ১১২ টাকা।
করোনা সংকটকালীন সময়ে ভোজ্য তেলে দাম পুনরায় বাড়ানোর বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন জানতে চাইলে পাওয়ার সেলের সাবেক মহাপরিচালক বিডি রহমতউল্লাহ বলেন, সয়াবিন বা ভোজ্যতেলের দাম বিশ্ববাজারে কোথাও বাড়েনি। দাম বাড়ার খবর কোথাও আমি দেখিনি। যদি বেড়েও থাকে, তাহলে সরকারকে ভোজ্যতেলে ভর্তুকি দিতে হবে।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, করোনা সংকটের মধ্যে আমাদের দেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে। সরকার কিছুতেই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করবে না। দাম বৃদ্ধির জন্য দায়ী সিন্ডিকেটে বড় বড় ব্যবসায়ীরা রয়েছে। এই সমস্ত অসাধু ব্যবসায়ীরা বিভিন্নভাবে সরকারের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। সরকার ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষা করছে। বর্তমানে এই রাষ্ট্র লুটেরাদের দখলে। জনগণ যতোদিন ক্রয় করতে থাকবে ততোদিনই তারা দাম বাড়াতে থাকবে। করোনার এই জরুরি সময়ে মানুষকে বাঁচানোর জন্য ভোজ্য তেলে যতো ভতুর্কি দেওয়া প্রয়োজন সরকারকে দিতে হবে। দাম সহনীয় করার জন্য ভর্তুকি দিতে হবে যাতে মানুষের ক্রয় করার সামর্থ্যরে মধ্যে থাকে। ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যা বলছে তা সত্য নয়। এর কোনো প্রমাণ তাদের কাছে নেই।
তিনি বলেন, মহামারী সময় কখনো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ে না। এখন ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানো হচ্ছে, আগে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। দ্রব্যের দাম বেড়েই চলছে, বাজারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। করোনাকালে জনগণকে বেশি বেশি ভর্তুকি দিতে হবে, ত্রাণ দিতে হবে। মহামারীর কারণে মানুষের কাজ নেই। সারা বিশ্বেই বেকারত্ব বেড়ে গেছে। সারা বিশ্বেই বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। আমাদের দেশেই বিনা পয়সায় করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে। এই ভর্তুকিটা খাদ্যেও দিতে হবে।