দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৮ লাখ ছাড়াল
অর্থনীতি ডেস্ক : ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন এক হাজার ৭১০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে, যা গত ২৫ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ। সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগের দিন রোববার ২৪ ঘণ্টায় নভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড ১৯) আক্রান্ত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ওইদিন করোনা সনাক্ত হয়েছিল এক হাজার ৪৪৪ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ৫০৩টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ সময়ে নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৮ হাজার ৮৬২টি। সংগৃহীত নমুনার মধ্যে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ১৮ হাজার ১৭৮টি। গত ২৪ ঘণ্টার নমুনা পরীক্ষা নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা হলো ৫৯ লাখ ৪৭ হাজার ৫১৩টি।
করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে আরও ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে গত এক দিনে। এদের নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট ১২ হাজার ৬১৯ জনের মৃত্যু হল।
গত ২৪ ঘণ্টার হিসাবে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ। আর এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৫৬৭ জন। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত এ ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুস্থ হলেন মোট ৭ লাখ ৪০ হাজার ৩৭২ জন। শনাক্ত বিবেচনায় মোট সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের ২৫ জন পুরুষ আর নারী ১১ জন। তাদের ২৮ জন সরকারি হাসপাতালে, ৬ জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং ২ জন বাড়িতে মারা যান।
তাদের মধ্যে ১৮ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৯ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৫ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর এবং ৪ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল।
মৃতদের মধ্যে ৯ জন ঢাকা বিভাগের, ১২ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৮ জন রাজশাহী বিভাগের, ৬ জন খুলনা বিভাগের এবং ১ জন সিলেট বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। এ পর্যন্ত মৃত ১২ হাজার ৬১৯ জনের মধ্যে ৯ হাজার ১১৩ জন পুরুষ এবং ৩ হাজার ৫০৬ জন নারী।
দেড় মাসে আরও এক লাখ মানুষের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আট লাখ ছাড়িয়ে গেছে। গত বছর ৮ মার্চ বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ার পর ২০ ডিসেম্বর শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫ লাখ ছাড়িয়ে যায়। এরপর ৯৯ দিনে আরও এক লাখ রোগী শনাক্ত হওয়ায় ২৯ মার্চ দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ছয় লাখ ছাড়ায়। ততদিনে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কবলে পড়েছে বাংলাদেশ, দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে হু হু করে। মাত্র ১৬ দিনে আরও এক লাখ মানুষের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়লে দেশে শনক্তি রোগীর সংখ্যা ১৪ এপ্রিল সাত লাখ পেরিয়ে যায়। এর মধ্যেই গত ৭ এপ্রিল রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা সাত লাখ থেকে আট লাখে পৌঁছতে সময় লেগেছে ৪৭ দিন। দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা সামলে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এখন এপ্রিলের তুলনায় কমে এলেও ওই সংখ্যা এখনও এক থেকে দুই হাজারের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। সূত্র : বিডিনিউজ, বাংলা ট্রিবিউন, বার্তা ২৪। সম্পাদনা : ভিক্টর রোজারিও