আগামী বাজেটে সিএসই’র পাঁচ প্রস্তাব
নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী অর্থবছরের (২০২১-২২) বাজেটে করপোরেট কর হার পুনর্বিন্যাস, নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর রেয়াতের সময়সীমা বৃদ্ধি করাসহ পাঁচটি প্রস্তাব দাবি জানিয়েছে দেশের দ্বিতীয় শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব দাবি জানানো হয়। সিইএসইর দাবিগুলো হলোÑ কর্পোরেট কর হারের পুনর্বিন্যাস তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য বিদ্যমান কর হার ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করা। তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যকার কর হারের পার্থক্য বৃদ্ধি পেলে মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানি তালিকাভুক্ত হতে উৎসাহিত হবে, যা পুঁজিবাজারকে সমৃদ্ধ করবে এবং স্বচ্ছ করপোরেট রিপোর্টিংয়ের মাধ্যমে রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
ন্যূনতম ২০ শতাংশ শেয়ার আইপিও’র মাধ্যমে হস্তান্তর করলে তালিকাভুক্তির বছর ১০ শতাংশ এবং পরের দুই বছর ৫ শতাংশ কর হার নির্ধারণ। কর রেয়াতের বছরগুলোতে ‘এ’ গ্রুপ বজায় রাখতে হবে। এ দাবির পক্ষের যুক্তিতে বলা হয়েছেÑ কোম্পানি অনেক বিধিবিধান পরিপালন করে তালিকাভুক্ত হয়। কর রেয়াতের কারণে অতালিকাভূক্ত কোম্পানি তালিকাভুক্ত হতে উৎসাহিত হবে। এতে পুঁজিবাজারে গুণগত মানসম্পন্ন শেয়ারের যোগান বাড়বে, যা বাজারে লেনদেন বৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা আনয়নে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে।
এসএমই কোম্পানির নতুন করহার নির্ধারণ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তি উৎসাহিত করার লক্ষ্যে এসএমই কোম্পানির জন্য তালিকাভুক্ত হওয়ার বছর থেকে পাঁচ বছরের জন্যে ১০ শতাংশ হারে কর নির্ধারণ করা যেতে পারে। ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত লভ্যাংশের সীমা বৃদ্ধি করা, করমুক্ত লভ্যাংশের সীমা ৫০ হাজার টাকা থেকে দুই লাখ টাকা করার দাবি জানানো হয়। তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত বন্ডের সুদ আয়ের কর অব্যাহতি বর্তমানে শুধুমাত্র জিরো কুপন বন্ড থেকে প্রাপ্ত আয় ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যতিরেকে করমুক্ত।
দেশের অর্থনীতির আকার ও ব্যাংকিং খাতের অস্থিরতার প্রেক্ষিতে একটি শক্তিশালী বন্ড মার্কেট তৈরি করা অতি জরুরি। এই পদক্ষেপ পুঁজিবাজারের পাশাপাশি আর্থিক খাতেও শৃঙ্খলা আনয়ন করতে পারে। সে কারণে নতুনভাবে একটি বন্ড মার্কেট তৈরি করার লক্ষ্যে সকল প্রকার বন্ড থেকে প্রাপ্ত আয়কে করমুক্ত করা প্রয়োজন এবং জিরো কুপন বন্ড থেকে প্রাপ্ত আয়ের করমুক্ত সুবিধা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ সকল করদাতাকে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন।