উত্তরে চা চাষে খুলেছে নতুন দুয়ার
অর্থনীতি ডেস্ক : দেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় চা দিবস পালিত হচ্ছে। এবারের চা দিবসের প্রতিপাদ্য হলো ‘মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, চা-শিল্পের প্রসার’।
বাংলাদেশ চা বোর্ড জানায়, ১৯৫৭ সালের ৪ জুন প্রথম বাঙালি হিসেবে তৎকালীন চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। চা বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকাকালে এবং স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে চা শিল্পে বঙ্গবন্ধুর অবদানকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রতিবছর ৪ জুন চা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল গত বছর। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশে প্রথমবারের মতো দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে।
রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যমাত্রার সাথে সংগতি রেখে দেশের অর্থনীতিকে বেগবান করা, রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণ, চা বাগানে ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহার, দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং পিছিয়ে পড়া চা শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ চা বোর্ডসহ চা শিল্পসংশ্লিষ্ট সকলে নিরলস প্রচেষ্টা চালাবে এ প্রত্যাশা করেন রাষ্ট্রপতি।
অন্যদিকে, ‘জাতীয় চা দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চা শিল্পের প্রসার তথা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আনয়নে চা শ্রমিক, চা গবেষক, চা উৎপাদনকারী, চা ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সবাই একসাথে আন্তরিকভাবে কাজ করবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি প্রত্যাশা করি, চা শিল্পের প্রসার তথা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আনয়নে চা শ্রমিক, চা গবেষক, চা উৎপাদনকারী, চা ব্যবসায়ীসহ সকলে একসাথে আন্তরিকভাবে কাজ করবে।’ চা রপ্তানির পুরাতন ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে সরকার এর উৎপাদনের পাশাপাশি বিপণনের ওপরও গুরুত্বারোপ করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এতে ২০২০ সালে ১৯টি দেশে চা রপ্তানি করে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা আয় করা সম্ভব হয়েছে। এবং আমরা চা আইন ২০১৬ প্রণয়ন করেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘চা গাছের নতুন নতুন ক্লোন উদ্ভাবন, উৎপাদন ব্যয় কমানোর জন্য গবেষণার মাধ্যমে আধুনিক ও কার্যকরী চা চাষ প্রক্রিয়া উদ্ভাবন, গবেষণাগার আধুনিকায়ন ও চা বিজ্ঞানীদের গবেষণায় উৎসাহ প্রদান, আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদানুযায়ী গুণগত মানসম্পন্ন ও বৈচিত্রময় চা তৈরি, চায়ের বহুমুখী ব্যবহার, আকর্ষণীয় ও আন্তর্জাতিক মানের মোড়কে বাজারজাতকরণ এবং সর্বোপরি নতুন নতুন বাজার অন্বেষণে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা প্রয়োজন।’