স্টেশন কাউন্টারে ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদক : দুই মাসেরও অধিক সময় বন্ধ থাকার পর আবারও রেল স্টেশনের টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। সেই সাথে অনলাইনেও পাওয়া যাচ্ছে ট্রেনের টিকিট।
মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনসহ দেশের সব স্টেশনের কাউন্টারে টিকিট বিক্রি শুরু হয়।
এ বিষয়ে দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে জানায়, করোনার ঝুঁকি এড়াতে সরকারি নির্দেশনা মেনে অর্ধেক আসনে ট্রেন চলাচল করছে। এসব ট্রেনের টিকিট একই সঙ্গে কাউন্টার ও অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে। ট্রেনের মূল আসন সংখ্যার ২৫ শতাংশ টিকিট মোবাইল অ্যাপস্ এবং ২৫ শতাংশ টিকিট কাউন্টারে বিক্রি করা হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, যাত্রার ৪৮ ঘণ্টা আগে অবিক্রিত টিকিট একই সঙ্গে অনলাইন অথবা কাউন্টার থেকে কেনা যাবে। এছাড়া, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আগে কেনা আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট ফেরতও (রিফান্ড) দেয়া যাবে।
এছাড়া করোনাকালীন বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
এরমধ্যে রয়েছে, মাস্ক ব্যতীত কোনো যাত্রীকে স্টেশনে প্রবেশ বা ট্রেনে ভ্রমণ করতে দেয়া হবে না। আসনবিহীন টিকিট বিক্রি হবে না এবং টিকিটবিহীন কোনো যাত্রী স্টেশনে প্রবেশ বা ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন না।
বাংলাদেশ রেলওয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনার ঝুঁকি এড়াতে সরকারি নির্দেশনা মেনে অর্ধেক আসনে ট্রেন চলাচল করছে। যার টিকিট একই সঙ্গে কাউন্টার ও অনলাইনে বিক্রয় করা হচ্ছে। ট্রেনের মূল আসন সংখ্যার ২৫ শতাংশ টিকিট মোবাইল অ্যাপস্ এবং ২৫ শতাংশ টিকিট কাউন্টারে বিক্রয় করা হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, যাত্রার ৪৮ ঘণ্টা আগে অবিক্রিত টিকিট একইসঙ্গে অনলাইন/কাউন্টার থেকে কেনা যাবে। সে সঙ্গে ক্রয়কৃত আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট ফেরত (রিফান্ড) দিতেও পারবেন।
করোনাকালে ট্রেন পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে বিশেষ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছেÑ আসনবিহীন টিকিট বিক্রয় করা হবে না। তাই অযথা কাউন্টারে ভিড় করা থেকে বিরত থাকুন। টিকিটবিহীন কোনো যাত্রী স্টেশনে প্রবেশ বা ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন না। ট্রেনে প্রবেশ ও বাহিরের জন্য ভিন্ন ভিন্ন দরজা ব্যবহার করতে হবে। অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। মাস্ক ব্যতীত কোনো যাত্রীকে স্টেশনে প্রবেশ বা ট্রেনে ভ্রমণ করতে দেওয়া হবে না।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক গত ৫ এপ্রিল তারিখ থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের সব যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। গত ২৩ মে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক ২৪ মে থেকে সরকার কর্তৃক বিদ্যমান আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন পরিচালনার নির্দেশনা দেওয়া হয়। সম্পাদনা : রেজা