পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমলেও সবজির দাম বাড়তি
মাসুদ মিয়া : এক সপ্তাহে বাড়ছে আর এক সপ্তাহে কমছে এভাবে চলছে পেঁয়াজের দাম। সপ্তাহ ব্যবধানে রাজধানীতে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। তবে আগের মতোই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। সেই সঙ্গে অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগির দাম। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, হঠাৎ করেই বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গিয়েছিল, যে কারণে দাম বেড়ে যায়। ৪০ টাকা থেকে লাফিয়ে দাম বেড়ে কেজি ৬০ টাকা হয়ে যায়। তবে সরবরাহ বাড়ায় দাম কমে এখন খুচরায় ৪৫ টাকায় নেমে এসেছে।
লক্ষ্মীবাজারে ব্যবসায়ী নাজমুল হোসেন বলেন, দাম বৃদ্ধি দেখে অনেকে বাড়তি পেঁয়াজ কিনেছেন। এতে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় পেঁয়াজের দাম আরও বেড়ে যায়। তবে এখন চাহিদা কমেছে। আবার দেশি পেঁয়াজের সরবরাহও বেড়েছে। এ কারণে দাম কমেছে।
কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী কাশেম বলেন, ভারত থেকে আসা বন্ধ থাকায় পেঁয়াজের সরবরাহ কমে যায়। সেই সঙ্গে ফরিদপুরের বাজারেও দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কম ছিল। যে কারণে হুট করে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। তবে এখন সরবরাহ অনেকটাই ঠিক হয়ে গেছে। যে কারণে দাম কমেছে।
এদিকে ব্রয়লার, সোনালী ও লাল লেয়ার মুরগি আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি করছেন। লাল লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা। আর সোনালী মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২৩০ টাকা।
মুরগির দামের বিষয় ব্যবসায়ী সুমন বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দামে হেরফের হয়নি। এখন সোনালী মুরগি তুলনামূলক কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। আমাদের ধারণা আর বেশিদিন এ অবস্থা থাকবে না। কিছুদিনের মধ্যে সোনালী মুরগির দাম বেড়ে যেতে পারে।
এদিকে সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে আগের মতো ফুলকপি প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে শসা, বেগুন, পটল, ঢেড়সের দাম। মানভেদে শসার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। ঢেড়সের কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা।
এছাড়া বরবটি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, গাঁজর ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পাকা টমেটো ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ঝিঙে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
কাঁচকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। এক কেজি কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। পেঁপের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। উস্তের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। সবজির দামের বিষয়ে নারিন্দা বাজারের ব্যবসায়ী রহিম হোসেন বলেন, প্রতিবছরই এমন সময় সবজির দাম একটু বেশি থাকে।
শীতের সবজি আসার আগে দাম কমার সম্ভাবনা কম বরং সামনে সবজির দাম আরও বাড়তে পারে। চালের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮ বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে নতুন কেজি ৬০ টাকা পুরাতন মিনিকেট ৬৪ টাকা।
রসুন ৮০ টাকা এবং রসুন চায়না ১২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। মোটা দানা মসুরের ডাল কেজি ৭৫ টাকা, মুগ ডাল ১২০ টাকা, মটর ডাল ১০০ টাকা, ছোলা ৭০ টাকা আর খেসারি ৮০ টাকা, মাছের দামও কিছুটা বেড়েছে। প্রতি কেজি রুই মাছের দাম (আকারভেদে) ১৮০ থেকে ৩৫০ টাকায়, মাগুর মাছ ৪০০ টাকায়, প্রতি কেজি শিং মাছ (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৪০০ টাকায়, মৃগেল ১১০ থেকে ১৪০ টাকায়, পাঙ্গাস ১২০ থেকে ১৫০ টাকায়, ইলিশ প্রতি কেজি (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে হাজার টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়, বোয়াল মাছ প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকায়, কাতল ১৭০ থেকে ৩০০ টাকায়, ফোলি মাছ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়, পাবদা মাছ ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়, টেংরা মাছ ১৮০ থেকে ২৫০ টাকায়, টাটকিনি মাছ ১২০ থেকে ১৪০ টাকায়, তেলাপিয়া ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়, সিলভার কার্প ১২০ থেকে ১৪০ টাকায়, কাঁচকি ও মলা বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, রূপ চাঁদা মাছ কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সম্পাদনা : ভিক্টর রোজারিও