দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির গতি ঊর্ধ্বমুখী : অর্থমন্ত্রী
সোহেল রহমান : আগামী অর্থবছরে অনেক চ্যালেঞ্জ থাকলেও দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির গতি ঊর্ধ্বমুখী বলে দাবি করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বুধবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ‘অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’ ও ‘সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র ভার্চুয়াল বৈঠক শেষে এক ভার্চুয়াল ব্রিফিং-এ তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ দাবি করেন।
নতুন অর্থবছরে সামষ্টিক অর্থনীতিতে কী ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকারের পরিকল্পনা বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘চ্যালেঞ্জ অনেক, চ্যালেঞ্জ নেই তা বলব না। আমরা চ্যালেঞ্জগুলো সবসময় সুযোগ হিসেবে চিন্তা করি। কারণ ইতিহাস থেকে আমরা দেখেছি যে, অর্থনৈতিক দিক থেকে যখনই কোনো চ্যালেঞ্জ আসে, এতে সুযোগ বা সম্ভাবনা (অপরচুনিটি) বাড়ে। আমরা মনে করি আমাদের অপরচুনিটিও বাড়বে। চলতি অর্থবছর শেষ দিকে চলে এসেছে। বছর শেষে আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির গতিবিধি অনেক ঊর্ধ্বমুখী।
প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, অনেকেই ধারণা করেছিলেন যে, আমরা অর্জন করতে পারব না, কিন্তু আমরা সেটি পেরেছি। প্রধানমন্ত্রীর সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের কারণে আমরা এটি করতে পেরেছি। আমাদের রেভিনিউ অর্জন ছিল প্রধান সমস্যা। রেভিনিউ অর্জনে এখন আমাদের ১৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি। রপ্তানিতেও ১৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। রিজার্ভের পরিমাণ ৪৬ বিলিয়ন ডলার ছুঁই ছুঁই করছে, এ মাসেই ৪৬ বিলিয়ন ডলার হয়ে যাবে। রেমিট্যান্সের পরিমাণ ২৫ বিলিয়ন ডলার, গত বছর ১৮ বিলিয়ন ডলার ছিল। আগামী অর্থবছরে বিশেষ প্রণোদনায় কালো টাকা সাদা করার সুযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে জানতে আপনাদের আরও কয়েকটাদিন অপেক্ষা করতে হবে। আগামী ২৯ তারিখ সংসদে অর্থ বিল পাস হবে, সে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
রিজার্ভ চুরি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চুরি হওয়া টাকার বিষয়ে আমরা আইনি প্রক্রিয়ায় গেছি। যারা এর সঙ্গে সম্পৃক্ত বা আমাদের চিন্তায় যারা ছিল, তাদের বিরুদ্ধে আমরা মামলা করেছি, মামলা এখনও চলমান। এ সময়ে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা সমীচীন নয়। সেজন্য আমি কোনো মন্তব্য করব না।
ভারতের কাছ থেকে টিকা নিতে না পারলে টাকা ফেরতের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এটা দেখভাল করবে। চুক্তি অনুযায়ী কত দিন সময় নিয়েছিল সেটি দেখতে হবে। তাদেরও (ভারত) সেখানে টিকা প্রয়োজন। সেসব কারণ বিবেচনায় নিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। তবে অবশ্যই এটা ঠিক, তারা ফেল করলে টাকা ফেরত দেবে।
সংসদীয় কমিটিতে বলা হয়েছে, সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে প্রতিটি সার্জিক্যাল মাস্ক ৩৫৬ টাকা দরে কেনা হয়েছে। কেবিনেট কমিটি মনিটর করলে ২ থেকে ১০ টাকার মাস্ক কীভাবে ৩৫৬ টাকা দিয়ে কেনা হয়Ñ এমন প্রশ্নের জাবাবে মন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে যেভাবে বরাদ্দ দেয়া হয় তেমনি তাদের ক্রয় করার সুযোগও আছে। তারা নির্দিষ্ট লিমিটের মধ্যে কিনতে পারে, সেই লিমিট যখন ক্রস হবে তখন আমাদের কমিটিতে আসবে। তার আগে মন্ত্রণালয় যথাযথ কর্তৃপক্ষ, তাদের ক্রয়ের ক্ষমতা রয়েছে।