ক্ষুদ্র আর মাঝারি ব্যবসায়ীদের পাশে কি কেউ থাকে!
খাজা নিজাম উদ্দিন
‘এক ঝুড়িতে সব ডিম রেখো না’Ñ এটি একটি অমর বাণী। ওয়ারেন বাফেটের এই পরামর্শ এই দুনিয়া যতোদিন থাকবে, ততোদিন হয়তো মানুষ মনে রাখবে। টাকার অংকে কনভার্ট করলে কোন ব্যবসাটি বাংলাদেশে গার্মেন্টসকে ছাড়িয়ে যেতে পারে? আইটি নিয়ে ২৫ বছর অনেক গল্প শোনা গেলেও সেটা পর্বতে মুষিক প্রসবের মতোই হয়েছে। আসলে যেটা পারবে, সেটা হলো- গবাদি পশুর খামার। বাংলাদেশে অসীম সম্ভাবনা নিয়ে যে ব্যবসাটা এগোচ্ছে তা হচ্ছে গবাদি পশুর খামার।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত খাতের একটি হলো এই ব্যবসাটি। গত দুই ঈদসহ সারা বছর এই ব্যবসাটা মন্দা গিয়েছে। এর পেছনে যে কয়েক লাখ ক্ষুদ্র আর মাঝারি ব্যবসায়ীদের যে বিনিয়োগ আছে, তা অনেকটা ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। বড়রা সামলাতে পারবে, তাদের পাশে থাকে সরকার আর ব্যাংক। কিন্তু ক্ষুদ্র আর মাঝারী ব্যবসায়ীদের পাশে কে থাকে? অনেকেই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছেন। তাদের খবর কেউ রাখে না।
আল্লাহ না করুক, এই ঈদে যদি আবারও ক্ষতির মুখোমুখি হয়, তাহলে যারা শেষ সম্বল নিয়ে আশার বাণী গুণছেন, তারাও বিপদে পড়বেন। ২/৩টি ছোট ছোট ব্যবসা করে জেনেছি ওয়ারেন বাফেটের কথা কতো সত্যি। বিশেষ করে সংকটকালে এক ঝুড়িতে সব ডিম রাখার বিপদ বোঝা যায়। গত দেড় বছরে যারা সবচেয়ে বেশি লোকসানে পড়েছেন, তাদের বড় অংশটা তরুণ। হোটেল, রেস্টুরেন্টের ব্যবসা আর ট্রাভেল বিজনেসে তরুণরা দারুণভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিলো। করোনা শুধু তাদের থমকে দেয়নি, বিনিয়োগের টাকা পরিশোধের চিন্তায় কতো তরুণ দুঃশ্চিন্তায় আছে, তার খবর আমরা কেউ জানি না।
অনেকেই গবাদি পশুর খামারে সর্বস্ব নিয়োগ করেছেন। তাদের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। এই ঈদে আগের ক্ষতি কাটিয়ে উঠার মতো লাভ হবে কিনা বলা যাচ্ছে না। করোনার লক্ষণ বলছে, আশার খবর কম। যতোটা সম্ভব বিনিয়োগে সাবধানী হওয়া দরকার। ফেসবুক থেকে