প্রয়োজনে ফিল্ড হাসপাতাল করা হবে : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেশে একদিনে করোনায় মৃত্যু ২শ ছাড়ালো
কেএম নাহিদ ও শরীফা খাতুন : গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা দেশে এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এ পর্যন্ত করোনায় দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৫ হাজার ৫৯৩ জনের।
এর আগে সোমবার ১৬৪ জন মারা যান। যা দেশে করোনায় ২য় সর্বোচ্চ মৃত্যু। পরের দিন (মঙ্গলবার) মারা যান ১৬৩ জন। এছাড়া কয়েকদিন ধরে মৃত্যুর নতুন নতুন রেকর্ড হচ্ছে। গত ১ জুলাই ১৪৩, ২ জুলাই ১৩২, ৩ জুলাই ১৩৪ এবং ৪ জুলাই ১৫৩ জনের মৃত্যু হয়।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ১৬২ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯ লাখ ৭৭ হাজার ৫৬৮ জনে। বুধবার স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩৭ হাজার ১৪৭ জনের। পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৫ হাজার ৬৩৯টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৩২ শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৮ লাখ ২৯ হাজার ৮৩২টি। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৩১ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২০১ জনের মধ্যে ৬৬ জনই খুলনার। এছাড়া ঢাকায় ৫৮, চট্টগ্রামে ২১, রাজশাহীতে ১৮, বরিশালে ৭, সিলেটে ৯, রংপুরে ১৪ এবং ময়মনসিংহে ৮ জন মারা গেছেন।
মারা যাওয়াদের মধ্যে ১১৯ জন পুরুষ এবং ৮২ জন নারী। এদের মধ্যে ১২ জন বাসায় মারা গেছেন। ১ জনকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে। বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন। এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মোট মারা যাওয়া ১৫ হাজার ৫৯৩ জনের মধ্যে পুরুষ ১১ হাজার ২ জন এবং নারী ৪ হাজার ৫৯১ জন।
করোনায় রোগী শনাক্তের ঊর্ধ্বগতিতে প্রয়োজনে ফিল্ড হাসপাতাল করা হবে। একইসঙ্গে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের শয্যা বাড়ানো ও জনবল পুনর্বন্টন করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত ভার্চুয়াল বুলেটিনে এ কথা জানান অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমাদের যেসব হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, সেই হাসপাতালগুলোতে কীভাবে শয্যার সংখ্যা বাড়ানো যায়, জনবল কীভাবে পুনর্বণ্টন করা যায়, আমরা সে দিকে মনোযোগ দিয়েছি। এর বাইরে ফিল্ড হাসপাতাল করা যায় কিনা সে বিষয়টি আমরা যাচাই বাছাই করছি। প্রয়োজন হলে ফিল্ড হাসপাতাল করবো।
দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীদের অক্সিজেন স্বল্পতা রয়েছে কিনা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘স্বাভাবিক সময়ে বাংলাদেশে ৫০ থেকে ৭০ মেট্রিক টন অক্সিজেনের চাহিদা থাকে। করোনাকালে সেটি আড়াই থেকে তিন গুণ বেড়েছে এবং রোগী সংখ্যা যদি এভাবে বাড়তে থাকে তাহলে সেটি সামাল দেওয়া আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে।