ঈদের আগে লবণে সিন্ডিকেট, বস্তায় দাম বাড়ল ১৫০ টাকা
নিজস্ব প্রতিবেদক : কোরবানির ঈদ সামনে রেখে বেড়েছে পশুর চামড়া সংরক্ষণের প্রধান উপাদান লবণের দাম। এক সপ্তাহ আগেও যেখানে প্রতি বস্তা লবণ বিক্রি হতো ৫৫০ টাকায়, কয়েক দফা বেড়ে এখন ওই বস্তা বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতিবারই সংকটের কথা বলে একটি অসাধু চক্র কোরবানির আগে লবণের দাম বাড়িয়ে দেয়। এবারও তারাই দাম বাড়াচ্ছে। পাইকার ও আড়ৎদারদের দাবি সরবরাহের ঘাটতির কারণে দাম সামান্য বেড়েছে।
তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে চাহিদার তুলনায় দেশে লবণের পর্যাপ্ত মজুদ আছে। সিন্ডিকেট করে যারা দাম বাড়াবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ার করা হচ্ছে।
কাঁচাচামড়া সংরক্ষণের সঙ্গে জড়িত পোস্তার ব্যবসায়ীরা বলছেন, কোরবানির আগে লবণের দাম বেড়ে যাওয়ায় চামড়া সংরক্ষণের খরচ বাড়বে। আবার অনেকে ব্যয় কমাতে গিয়ে প্রয়োজনের তুলনায় কম লবণ ব্যবহার করবে। এতে করে চামড়ার গুণগত মান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকছে।
এ বিষয়ে পুরান ঢাকার পোস্তার কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব হাজি টিপু সুলতান বলেন, ‘সারা বছরে যে পরিমাণ কাঁচা চামড়া সংগ্রহ হয়, তার ৫০ শতাংশই আসে কোরবানিতে। প্রতি বছর দেখা যায়, কোরবানি সামনে রেখে চামড়া সংরক্ষণের প্রধান উপাদান লবণের কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়। এবারও গত কয়েক সপ্তাহ ধরে লবণের দাম ঊর্ধ্বমুখী। আগে যে লবণের বস্তা ছিল ৫৫০ টাকা, এখন তা কিনতে হচ্ছে ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকায়।
এ বিষয়ে সরকারের কোনো পদক্ষেপ নেই।’ পুরান ঢাকার লালবাগে লবণের খুচরা ব্যবসায়ী আল-আমিন বলেন, কোরবানির পশু চামড়া সংরক্ষণে ব্যবহৃত আয়োডিনবিহীন মোটা লবণের প্রতি বস্তা (৭৫ কেজি) এখন ৬৮০ টাকা থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি করছি, যা ১০ থেকে ১৫ দিন আগে ছিল ৫৫০ টাকা। পাইকারি ও আড়ৎদাররা দাম বেশি নিচ্ছে তাই আমাদের বাধ্য হয়ে বেশি মূল্যে বিক্রি করতে হচ্ছে বলে তিনি জানান। এ লবণ গবাদিপশুকে খাওয়ানোর ও ডাইং কারখানায়ও ব্যবহৃত হয়।